ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলায় ‘উদ্ভাবনী উপস্থাপনের’ জন্য জাতীয় পর্যায়ের স্বীকৃতি পেয়েছে জেডইটি বাংলাদেশ।
শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার সমাপনী পর্বে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের কাছ থেকে ‘সেরা উদ্ভাবনী প্যাভেলিয়নের’ পুরুস্কার গ্রহন করেন জেডইটি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ভিনসেন্ট লিউ।
চীনা প্রতিষ্ঠান জেডইটি বিশ্বব্যাপী নতুন প্রজন্মের টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি উন্নয়নে উন্নয়নের পাশাপাশি মোবাইলফোন নির্মাতা হিসেবেও উদ্ভাবনের পরিচয় দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। উদ্বোধনী পর্বে সভাপতিত্ব করেন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীর বছরে আয়োজিত প্রদর্শনীর প্রতিপাধ্য নির্ধারন হয়েছে ‘প্রযুক্তির বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় প্রযুক্তির মহাসড়ক’।
মেলায় সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সেবা প্রদর্শনীর মাঝে প ম প্রজন্মের প্রযুক্তির উদ্ভাবন,ব্যবহারিকসহ পন্য এবং সেবার উপস্থাপনা নিয়ে দর্শনার্থীদের আকর্ষনে ছিলো জেডইটি বাংলাদেশের প্যাভেলিয়ন।
মেলা ‘জেডইটি বুথ’ প্রাঙ্গনে ব্যবসায় সমাধান, টার্মিনাল অভিজ্ঞতার পাশাপাশি ‘সিস্টেম সলিউশন’ প্রদর্শনী এলাকায় ‘সহজিকরনের মাধ্যমে বড়কিছু’ তুলে ধরা হয় বলে জানান জেডইটি কর্মকর্তারা।
মেলা চলাকালীন সময়ে, জেডইটির প্যাভেলিয়ন পরিদর্শন করেন অর্থমন্ত্রী মুস্তাফা কামাল, টেলিযোগাযোগ সচিব নূর-উর রহমান। এসময়, জেডইটি কর্পোরেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মেই ঝংগুয়া, ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং ঝু এবং জেডইটি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভিনসেন্ট লিউ উপস্থিত ছিলেন।
ফাইভজি প্রদর্শনীর পাশাপাশি দর্শনার্থীদের কাছে নেটওয়ার্ক একসিলারেশন,কৃত্তিমবুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারন,চাহিদা ভিত্তিক পরিবহন নেটওয়ার্ক,সয়ংক্রিয় চিপসেটের পাশাপাশি ‘কমন কোর নামের সেবা তুলে ধরা হয় ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারনা দিতে।
জেডইটি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ভিনসেন্ট লিউ বলেন,প্রযুক্তি ভিত্তিক সেবা গ্রহনের মাধ্যমে এশীয় প্রসান্ত মহাসাগরীয় অ লে অর্থনীতি, সামাজিক এবং সংস্কৃতি মুল্যবোধের ‘ইতিবাচক পরিবর্তন’ এসেছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলায় প্রযুক্তিখাতে জেডইটির বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা তুলে ধরার পাশাপাশি ফাইভজি এবং সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি সমূহের প্রয়োগ এবং সম্ভাবনার প্রয়োগ দেখানো হয় বলে জানান ভিনসেন্ট।
বাংলাদেশে শতাশিক অংশীদার প্রতিষ্ঠানের সাথে পরিবহন,স্বাস্থ্য সেবা এবং আবাসনখাতে ‘আধুনিক এবং জ্বালানী সাশ্রয়ী’ উদ্ভাবনী প্রযুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে কাজ করছে। পাশাপাশি, গণমাধ্যম এবং গেমিং সেক্টরে ‘কন্টেন্ট বিনিময়’ নিয়েও কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
জেডইটি বাংলাদেশের প্রধান বিপনণ কর্মকর্তা প্যাং ওয়েই বলেন প ম প্রজন্মের প্রযুক্তিতে ধারাবাহিক প্রদর্শনীর সাথে সাথে ‘ক্লাউড ভিত্তিক’ কৃত্তিম বাস্তবতা এবং অন্যান্য সেবায় বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে নেটওয়ার্কের শক্তি উপস্থাপন করা হয়।
কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে, ১৯৯৮ সাল থেকে উদ্ভাবনী সেবা সমাধান নিয়ে বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত পরিবর্তনে অবদান রাখছে চীনা প্রতিষ্ঠান জেডইটি।
এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী কার্যক্রমের আওতায়, ৩৫ টি বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সাথে ফাইভজি নিয়ে কাজ করছে জেডইটি। আন্তর্জাতিক বাজারে আধিপত্য বজায় রাখতে বার্ষিক মূনফার ১০ শতাংশ গবেষনা এবং উন্নয়নে বরাদ্দ রাখছে প্রতিষ্ঠানটি।