সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের হোয়াটসঅ্যাপের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে পাঠানো একটি বার্তা গ্রহণের পর ২০১৮ সালে আমাজনের ধনকুবের জেফ বেজোসের মোবাইল ফোন হ্যাকড হয়েছিল।
সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান এমন খবর দিয়েছে।
মোহাম্মদ বিন সালমানের ব্যবহার করা নম্বর থেকে পাঠানো গোপন বার্তায় ক্ষতিকর নথি ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেই নথি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির ফোনে ঢুকে পড়েছে। একটি ডিজিটাল ফরেনসিক বিশ্লেষণ থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সৌদি সিংহাসনের উত্তরসূরির অ্যাকাউন্ট থেকে পাঠানো ভাইরাস আক্রান্ত ভিডিও ফাইল থেকেই মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টের মালিক জেফ বেজোসের মোবাইল হ্যাকড হয়েছিল। এমনটিই সর্বোচ্চ সম্ভাব্য বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
গত বছরের ১ মে ওই সময় দুই ব্যক্তির মধ্যে সম্ভাব্য বন্ধুত্বপূর্ণ বার্তা বিনিময় ঘটেছিল। তখন এই অবাঞ্ছিত বার্তাটি পাঠানো হয়েছিল বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাতে গার্ডিয়ান জানিয়েছে।
এতে কয়েক ঘণ্টার ভেতরে ব্যাপকসংখ্যক উপাত্ত তার মোবাইল থেকে অন্যত্র বের হয়ে যায়। তবে কী ধরনের তথ্য চুরি হয়েছে এবং কীভাবে সেগুলো ব্যবহার করা হয়েছে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারেনি ব্রিটিশ দৈনিকটি।
খবরে বলা হয়েছে, আমাজনের প্রতিষ্ঠাতাকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে সৌদি আরবের ভবিষ্যৎ বাদশাহর সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে ওয়াল স্ট্রিট থেকে সিলিকন ভ্যালিতে বেদনাদায়ক এক আবহ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এ ছাড়া সৌদি আরব পশ্চিমা বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণে এমবিএস নামে পরিচিত এ যুবরাজ যেসব উদ্যোগ নিয়েছেন, তাতেও ভাটা পড়ে যেতে পারে।
বেজোসের ব্যক্তিগত জীবনের বিস্তারিত তথ্য কীভাবে মার্কিন ট্যাবলয়েড ন্যাশনাল এনকোয়ারার প্রকাশ করেছে, সেই পরিস্থিতি ঘিরে সৌদি আরবকে নিয়ে কঠিন প্রশ্ন তৈরি করে দিয়েছে নতুন এই তথ্য ফাঁস। ৯ মাস আগে ট্যাবলয়েডটির খবরে এই ধনকুবেরের ব্যক্তিগত বিষয়আশয় ছাড়াও তাদের বার্তা আদানপ্রদানও ছাপা হয়েছিল।