স্মার্টফোনে পর্নোগ্রাফি দেখে থাকেন অনেকেই। তবে এতে বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখে পড়ার আশঙ্কার কথা বলেছেন প্রযুক্তিবিদরা।
পর্নোগ্রাফি সাইটে ওত পেতে থাকে হ্যাকাররা। ফলে যে কারও ব্যক্তিগত তথ্য তাদের কাছে সহজেই চলে যেতে পারে।
স্মার্টফোনে পর্নোগ্রাফি দেখার ৫টি অন্যতম ঝুঁকি সম্পর্কে জানাচ্ছে জি নিউজ।
১. অনলাইন হ্যাকিং
বেশির ভাগ মানুষই নিজের স্মার্টফোনে মোবাইল ব্যাংকিং পাসওয়ার্ড, এটিএম কার্ড পাসওয়ার্ড, ই-মেইল আইডিসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সেভ করে রাখেন। সাইবার অপরাধীরা খুব সহজেই মোবাইল লগ ইনের মাধ্যমে এসব ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে নিতে পারে। আর পর্নোগ্রাফির সাইটগুলোর দিকেই বিশেষ নজর থাকে হ্যাকাররা। তবে কুকিজ ডিলেট এবং প্রাইভেট ব্রাউজিং অপ্টিং করার মাধ্যমে অনলাইনে হ্যাকিং প্রতিরোধ করা সম্ভব। এরপরেও ঝুঁকি থেকেই যায়।
২. পর্ন টিকার
শুধু সার্ভিস প্রোভাইডারই নয়, যারা অ্যাপ এবং ব্রাউজার ট্র্যাকিং করছেন তারাও আপনার মোবাইল অ্যাক্টিভিটি নজরে রাখছে। এটি গ্রাহকের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। স্মার্টফোনে পর্ন ছবি বা ভিডিও দেখার সময় পর্ন টিকার বা ভুয়া মোবাইল অ্যাপ চলে আসতে পারে। আর এই সব ভুয়া অ্যাপ গ্রাহকের ব্যক্তিগত এবং মূল্যবান তথ্য অনায়াসেই চুরি করতে পারে।
৩. শিশু পর্নোগ্রাফি
অনলাইনে এখন শিশু পর্নোগ্রাফির ছড়াছড়ি। হ্যাকাররা খুব সহজে এ সব পর্নোগ্রাফির দর্শকদের মোবাইল স্টোরেজ বা তথ্য কাজে লাগাতে পারে অপরাধমূলক কাজে। সে ক্ষেত্রে শিশু পর্নোগ্রাফি রাখার দায়ে জেলও হতে পারে।
৪. অপ্রয়োজনীয় পেইড সার্ভিস
পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইটগুলোতে প্রতি মুহূর্তে গ্রাহকদের জন্য নতুন নতুন পেইড সার্ভিসের অপশন আসতে থাকে। পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইট ঢুকতে গিয়ে মোবাইল গ্রাহকদের অগোচরেই এমএমএস, এসএমএস, প্রিমিয়াম এসএমএস, ডব্লিইএপিসহ একাধিক সার্ভিস চালু হয়ে যায়। এই সব সার্ভিস অ্যাকটিভ করার মাধ্যমে টাকা আয় করে সাইটগুলো।
৫. র্যানসমওয়্যার
অনলাইনে টাকা দিয়ে যারা পর্নোগ্রাফি দেখেন, সহজেই তাদের ট্র্যাক করতে পারে হ্যাকাররা। মোবাইল হ্যাক করে তার আংশিক বা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হ্যাকারদের হাতে চলে যায়। এই ধরনের প্রতারণাকে বলে র্যানসমওয়্যার। গ্রাহকেরা পর্নোগ্রাফি দেখতে কোনো অচেনা ওয়েবসাইটে ঢুকলেই নতুন একটি পপ আপ উইন্ডো মোবাইল স্ক্রিনে দেখা যাবে। এই পপ আপ উইন্ডো আপনার স্মার্টফোন লক করে দিতে পারে, হ্যাঙ্গ করে যেতে পারে ফোন। ফোন মেমোরি থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও হ্যাকারদের হাতে পৌঁছে যেতে পারে।