দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসনের পক্ষে নানা যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন ডেমোক্র্যাট সিনেটররা। তবে ডেমোক্র্যাটদের সমালোচনা করে রিপাবলিকানরা বলছেন, দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে নতুন কিছু দেখাতে পারেনি তারা। তবে রিপাবলিকান সিনেটরদের প্রতি তিনজনের একজন মনে করেন, গেল তিন বছরে বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্পের অভিশংসন নিয়ে মার্কিন সিনেটে আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে অংশ নেন রিপাবলিক ও ডেমোক্র্যাট সিনেটররা। এদিন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের আইনি ও সাংবিধানিক গুরুত্বের ওপর আলোচনা করা হয়। তবে শুনানিতে সিনেটরদের অন্যমনষ্ক থাকার অভিযোগ উঠেছে। অনেক সিনেটরই ঘুমিয়ে এবং মোবাইল ফোনে গেমস খেলে সময় কাটান বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি। এছাড়া, অনেক সিনেটরকেই ফিজেট স্পিনার এবং কাগজের বিমান বানিয়ে খেলতে দেখা গেছে। অভিশংসন শুনানির সময় বসে থাকার নিয়ম থাকলেও কমপক্ষে ৯ জন জন ডেমোক্র্যাট এবং ২২ জন রিপাবলিকান দলের সিনেটর বিভিন্ন সময় আসন ছেড়ে বাইরে যান বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমটি।
এ সময় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ফায়দা লাভে বিদেশি সরকারের সহায়তা চেয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ করেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর। ডেমোক্র্যাট সিনেটর অ্যাডাম শিফ বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সব অপকর্মের প্রমাণ আমরা উপস্থাপন করেছি। আমরা মনে করি, অভিশংসনের জন্য এই তথ্য প্রমাণগুলোই যথেষ্ট। তিনি সংবিধান লঙ্ঘন করে এসব অপকর্ম করেছেন। এই মুহূর্তে তাকে অপসারণ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ট্রাম্পের অপরাধ নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। তবে রিপাবলিকানরা এসব তথ্য অস্বীকার করেছেন। দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে ডেমোক্র্যাটরা নতুন কোনো অভিযোগ কিংবা তথ্য উপস্থাপন করতে পারেনি বলে দাবি তাদের।
রিপাবলিকান সিনেটর জন ব্যারাসো দাবি করেছেন, অভিশংসন নিয়ে ডেমোক্র্যাটরা বার বার একই তথ্য উপস্থাপন করছেন। তারা প্রথম দিন যেসব অভিযোগ তুলেছেন দ্বিতীয় দিন ঠিক একই বিষয়ে কথা বলেছেন। দেড় ঘণ্টার বক্তব্যে শুধু আগের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক। তাদের এসব যুক্তি খণ্ডাতে আমরা প্রস্তুত। এদিকে, রিপাবলিকান সিনেটরদের, প্রতি তিন জনের একজন মনে করেন, গেলো তিন বছর ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক জরিপের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন জানায়, ৫৯ শতাংশ রিপাবলিক সিনেটর মনে করেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অবৈধ কর্মকাণ্ডের অভিযোগ থাকলেও তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা উচিত হবে না।