করোনাভাইরাস সম্পর্কিত ভুল তথ্য ঠেকাতে মাঠে নেমেছে গুগল ও ফেসবুক। নিজ নিজ প্ল্যাটফর্মে করোনাভাইরাসের ভুল তথ্য প্রচার ঠেকাবে প্রতিষ্ঠান দুটি।
ফেসবুক জানিয়েছে, করোনাভাইরাস সম্পর্কিত ভুল তথ্য ‘চিহ্নিত করা ও মুছে দেওয়ার’ কাজে নামছে তারা। আর গুগল এগিয়েছে আরও এক ধাপ। করোনাভাইরাস সার্চের জন্য ‘এসওএস অ্যালার্ট’ নিয়ে এসেছে প্রতিষ্ঠানটি।
ফেসবুকের তৃতীয় পক্ষীয় ‘সত্যতা যাচাইকারীরা’ এরই মধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। ভাইরাস সম্পর্কিত কনটেন্ট পর্যালোচনা করছেন তারা। ‘সত্যতা যাচাইকারীরা’ যখনই কোনও কনটেন্টে ভুল পাচ্ছেন, তখনই ফেসবুকের পক্ষ থেকে ওই কনটেন্টটির ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো হচ্ছে এবং ওই কনটেন্টটি যারা শেয়ার করেছেন বা বা শেয়ার করার চেষ্টা করছেন, তাদেরকে সতর্কতা নোটিফিকেশন পাঠানো হচ্ছে। বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংস্থা যেসব কনটেন্টকে চিহ্নিত করছে, সেগুলোও মুছে দিচ্ছে ফেইসবুক।
উল্লেখ্য, ভুয়া প্রতিষেধকের কথা বলে ফেসবুকে অনেক পোস্ট ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছিল। হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে ইন্সটাগ্রামেও ছড়ানো হচ্ছিল পোস্টগুলোকে। ইন্সটাগ্রাম প্ল্যাটফর্মেও পোস্টগুলোর ছড়িয়ে পড়া ঠেকাচ্ছে ফেসবুক। সরাসরি হ্যাশট্যাগগুলো ব্লক করে দিচ্ছে তারা।
এদিকে, সার্চ ফলাফলের ক্ষেত্রে শীর্ষ সংবাদ, সংশ্লিষ্ট স্থানীয় ফলাফল, নির্ভরযোগ্য সংস্থা থেকে পাওয়া সহায়তা তথ্য এবং যাচাই হওয়া নিরাপত্তা টিপস, ইত্যাদি ধরতে পারবে গুগলের এসওএস অ্যালার্ট।
এ ছাড়াও করোনাভাইরাস সম্পর্কিত শিক্ষামূলক ক্যাম্পেইন চালাতে যাতে সংস্থাগুলোর সমস্যা না হয়, সেজন্য আক্রান্ত অঞ্চলে ‘বিনামূল্যের বিজ্ঞাপন ক্রেডিট’ দিচ্ছে ফেসবুক। সমষ্টিগত ও ‘অ্যানোনিমাইজড মোবিলিটি’ ডেটা ও জনসংখ্যার ঘণত্ব ‘হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি’স স্কুল অফ পাবলিক হেলথ’ এবং ‘ন্যাশনাল সিং হুয়া ইউনিভার্সিটি ইন তাইওয়ান’-এর সঙ্গে শেয়ার করছে প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্ববিধ্যালয় দুটি যাতে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া সম্পর্কিত পূর্বাভাস আরও ভালোভাবে জানাতে পারে, সে লক্ষ্যেই করা হচ্ছে কাজটি।