স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট উভয়ই একে অপরের সাথে সংযুক্ত এবং দিনের পর দিন স্মার্টফোনে যেমন নতুনত্ব আসছে ঠিক একই ভাবে পরবর্তী প্রজন্মের ইন্টারনেট প্রযুক্তির ও বিকাশ হচ্ছে। এখন বিশ্বের সমস্ত দেশ ৫জি টেস্টে ব্যস্ত। তবে চীন এক ধাপ এগিয়ে ৬জি টেস্ট শুরু করলো। চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক ‘ফিউচার নেটওয়ার্ক ডেভলপমেন্ট’ এর জন্য কাজ শুরু করেছে।
রিপোর্ট অনুসারে, চীন ৬জি কানেক্টিভিটি সম্পর্কিত গবেষণার জন্য দুটি কার্যনির্বাহী দল গঠন করেছে। এই দলগুলির মধ্যে একটিতে সেক্টর মন্ত্রনালয়ের সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা রয়েছেন। আবার দ্বিতীয় দলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং প্রযুক্তি সংস্থার গবেষক এবং বিশেষজ্ঞরা থাকবেন। কিছু এক্সপার্ট মনে করেন ৬জি কানেক্টিভিটি থেকে গ্রাহকরা ১ টিবিপিএস স্পিড পাবেন, যা ৫জি-র তুলনায় ৮০০০ গুণ বেশি গতিযুক্ত।
চীন ছাড়াও ৬জি নেটওয়ার্ক নিয়ে আসার জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে জাপান। Nikkei এর একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৬জি নেটওয়ার্কের আউটলাইন তৈরি করে ফেলেছে জাপান। যদিও ৫জি টেকনোলজিতে জাপান অন্যান্য অনেক দেশের থেকেই পিছিয়ে। জাপানে ৬জি নেটওয়ার্ক বর্তমানের ৫জি এর তুলনায় ১০ গুন দ্রুত হবে। জাপান ৬জি ডেভেলপ করার জন্য মিনিস্ট্রি অফ ইন্টারনাল অ্যাফেয়ার্স এন্ড কমিউনিকেশন অফ জাপান গভর্মেন্ট সিভিলিয়ান সোসাইটি অফ রিসার্চ এই মাসে স্থাপন করবে বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
চীন ৬জি টেস্ট করলেও ভারত ৫জি এর কমার্শিয়াল লঞ্চ থেকে অনেক দূরে। ভারতে এখন ৫জি এর না তো ট্রায়াল শুরু হয়েছে, না স্পেকট্রাম বিক্রি শুরু হয়েছে। সুইডেনের ইকুইপমেন্ট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এরিকসন একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, ভারতে ২০২২ থেকে ৫জি পরিষেবা চালু হবে। টেলিকম কোম্পানিদের সংগঠন COAI আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে ৫জি চালু করতে চায় না।