প্রিয়শপ ডটকম অষ্টম বর্ষে পদার্পণ করেছে। ২০১৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে ই-কমার্স সাইট প্রিয়শপ (PriyoShop.com)। প্রিয়শপ ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশিকুল আলম খাঁন বলেন, গ্রাহকের আস্থা অর্জন করার মাধ্যমেই আমরা ৭ বছর পেরিয়ে ৮ম বর্ষে পদার্পণ করতে সক্ষম হয়েছি। কেনাকাটাকে সহজ করতে এবং অফলাইন কাস্টমারকে ডিজিটাল সেবার মধ্যে আনতে প্রিয়শপ ডটকম ইতোমধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে ১০,০০০ এজেন্টের মাধ্যমে সর্ববৃহৎ ই-কমার্স নেটওয়ার্কে পরিণত হয়েছে। চলতি বছরে আরো ৫০,০০০ এজেন্ট আমাদের সাথে যুক্ত হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বাইরের দেশের চেয়ে আমাদের দেশের কাস্টমারের কেনার ধরণে রয়েছে ভিন্নতা। আমাদের দেশের কাস্টমারদের কথা মাথায় রেখে আমরা অনলাইন কেনাকাটাকে আরো সহজ করেছি। কাস্টমার তার সুবিধামতো প্রিয়শপ ডটকমে অর্ডার দিতে পারে। অনলাইনে ওয়েবসাইট, অ্যাপস, ফেইসবুক ইনবক্স করে কিংবা কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিয়ে অর্ডার দিতে পারবে।
এছাড়াও প্রিয়শপ ডটকম ক্ষুদ্র দোকানদারদের এজেন্ট হিসেবে যুক্ত করে এবং টেকনোলজির সহায়তায় তাদের ক্ষুদ্র দোকানকে জেনারেল স্টোরে পরিণত করার কাজ করছে। এক্ষেত্রে যাদের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা নেই বা অনলাইন শপিংয়ে আগ্রহ থাকলেও অর্ডার করার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী নন, তারা ওই এজেন্ট থেকে প্রিয়শপ ডটকমের পণ্য অর্ডার করতে পারবে। কাস্টমার আবার সেখান থেকেই পণ্য সংগ্রহ কিংবা বিক্রয়োত্তর সেবা নিতে পারবেন।
ইতোমধ্যে ৪৯০টি ইউনিয়নে ১০ হাজারেরও বেশি এজেন্ট রয়েছে প্রিয়শপ ডটকমের, তারা নিজেদের পণ্য বিক্রি করার পাশাপাশি প্রিয়শপ ডটকমের কাছ থেকে কমিশন হিসেবেও আয় করছে। ২০২০ সালের মধ্যে ৫০ হাজার দোকানকে নিজেদের নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসতে চাইছে প্রিয়শপ ডটকম।
প্রিয়শপ ডটকমে মূল্য পরিশোধের জন্য রয়েছে সকল পেমেন্ট অপশন। আছে বিকাশ, ভিসা, মাস্টার কিংবা এ্যামেক্স কার্ড, নেক্সাস পে, ব্যাংক ডিপোজিটসহ নগদে মূল্য পরিশোধের সুবিধা। অর্থাৎ কাস্টমার চাইলে পণ্য হাতে পেয়ে মূল্য পরিশোধ করতে পারে। এছাড়া সম্প্রতি আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে প্রিয়শপ ডটকম। এর ফলে গ্রাহকরা ক্রেডিট কার্ড ছাড়াও সুদবিহীন সহজ কিস্তিতে পণ্য কিনতে পারবে।
প্রিয়শপ ডটকম ১০০০টির বেশি ব্র্যান্ড, অনুমোদিত অংশীদার এবং হাজারের অধিক পরীক্ষিত স্থানীয় ভেন্ডরের লক্ষাধিক পণ্য ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। গ্রাহকের আস্থা অর্জনে ক্রেতাকেন্দ্রিক নীতিমালা এবং ‘শিওর থিং’, অর্থাৎ সঠিক পণ্য সরবরাহে কাজ করছে তাঁরা।