রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) দক্ষিণ এশিয়ার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের বৃহৎ প্রদর্শনী ১৬তম ‘বেসিস সফটএক্সপো ২০২০’ শেষ হয়েছে। গতকাল বেসিস সফটএক্সপোর শেষ দিনে মেলার স্টলগুলোয় দর্শনার্থীদের উল্লেখযোগ্য ভিড় দেখা গেছে।
চলতি বছর প্রদর্শনী এলাকাকে ১০টি জোনে ভাগ করা হয়েছিল। ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ জোন ও এক্সপেরিয়েন্স জোনে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা তুলে ধরা হয়। এছাড়া ভ্যাট জোন, ডিজিটাল এডুকেশন জোন, ফিনটেক জোন, উইমেন জোন এবং বরাবরের মতো সফটওয়্যার সেবা প্রদর্শনী জোন, উদ্ভাবনী মোবাইল সেবা জোন, ডিজিটাল কমার্স জোন, আইটিইএস ও বিপিও জোন রাখা হয়। চার দিনব্যাপী বেসিস সফেটএক্সপোয় ৩০টিরও বেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এসব সেমিনারে বক্তব্য রাখেন শতাধিক দেশী-বিদেশী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।
বেসিস সফটএক্সপোয় দেশী-বিদেশী ব্যবসায়ীদের জন্য বি-টু-বি ম্যাচমেকিং সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এর মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা খুব সহজেই নিজেদের ব্যবসা প্রসারে বিদেশীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের সুযোগ পেয়েছেন। চলতি বছর সুইডেন, জাপান, নেদারল্যান্ডস থেকে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল বি-টু-বি ম্যাচমেকিং সেশনে অংশ নিয়েছিলেন। পাশাপাশি অন্য খাত থেকে বেসিস সদস্যপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সফলভাবে বি-টু-বি সেশন সম্পন্ন করা প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে শীর্ষ ১০টিকে ‘বেসিস টপ টেন ডিজিটাল-রেডি’ কোম্পানির সম্মাননা প্র্রদান করা হয়।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী গতকালও সকাল ১০টায় আইসিসিবিতে দেশী-বিদেশী সফটওয়্যার কোম্পানিগুলো তাদের স্টলগুলোয় নিজ নিজ পণ্য ও সেবা প্রদর্শন শুরু করে। এর আগে বেসিস সফটএক্সপোর তৃতীয় দিন রাতে সফটএক্সপোর মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করে কুপন কোডপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে বিজয়ীদের ট্যাব, রাউটার, মোবাইল ফোন প্রদান করা হয়।