ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে যাঁরা একেবারে নতুন তাঁরা ভালোভাবে প্রোগ্রামিং শিখতে পারেন সবার আগে। এতে আউটসোর্সিংয়ে আমাদের দেশে অনেক উচ্চতর পর্যায়ে কাজ আসবে। যে কাজই শিখতে চান না কেন, আগে ভালোভাবে আপনাকে শিখতে হবে। তারপর কাজ পাওয়ার চিন্তা করতে হবে।
তবে বর্তমানে ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট, মুঠোফোন অ্যাপ তৈরি, লিড জেনারেশন, অ্যাডমিন সাপোর্ট, গ্রাহকসেবা, ইন্টারনেট রিসার্চ ও ডেটা অ্যানালাইসিস কাজগুলোর চাহিদা বেশি।
নতুনেরা চেষ্টা করুন আইওএস ডেভেলপমেন্ট, অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপমেন্ট, পাইথন নিয়ে এগোতে। এই কাজগুলোতে প্রতিযোগিতা তুলনামূলক কম এবং কাজের চাহিদা বেশি। সবচেয়ে বড় বিষয়, এই কাজগুলোতে আপনার আয়ের পরিমাণটা অনেকাংশে বেড়ে যাবে।
যাঁরা ইউটিউব থেকে এইচটিএমএল, সিএসএস, জাভাস্ক্রিপ্ট ও বুটস্ট্র্যাপ শিখেছেন তা আসলে কতটুকু ভালোভাবে শিখেছেন তা যাচাই করে তবে কাজে যুক্ত হওয়া উচিত। আপনি যতটুকু শিখেছেন তাতে পিএসডি থেকে এইচটিএমএলে কীভাবে রূপান্তর করতে হয়, তা ভালো করে জেনে নিতে হবে। এইচটিএমএল, সিএসএস, জাভাস্ক্রিপ্ট ও বুটস্ট্র্যাপে আপনি দক্ষ হলে চেষ্টা করুন পিএসডি থেকে এইচটিএমএল রূপান্তর কীভাবে করতে হয়, তা জানতে।
পিএসডি থেকে এইচটিএমএল বা এক্সএইচটিএমএল করার ক্ষেত্রে পরিকল্পনাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বাকি কাজ, অর্থাৎ কোড লেখা সহজ। যাঁরা আউটসোর্সিংয়ে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করতে চান, তাঁরা শুরু করতে পারেন পিএসডি টু এইচটিএমএল রূপান্তরের কাজ দিয়ে। এই কাজগুলো ভালোভাবে শিখে যেকোনো মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খুলে (অনুমোদন হলে) পিএসডি টু এইচটিএমএল কনভার্ট লিখে খুঁজলেই অনেক কাজের খোঁজ পাবেন। এখান থেকে আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজে আপনি আবেদন করতে পারেন।