পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা কোনো স্যাটেলাইটের জ্বালানি শেষ হয়ে গেলে সেটি অকার্যকর হয়ে পড়ে। কোনো কাজে না আসায় মহাকাশ বর্জ্যে পরিণত হয়।
তবে বিজ্ঞানীরা এবার প্রথমবারের মতো কক্ষপথে প্রদক্ষিণরত একটি স্যাটেলাইটের সঙ্গে কমার্শিয়াল স্পেসক্রাফটকে ডক বা যুক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। নর্থ্রপ গ্রুমম্যানের ‘মিশন এক্সটেনশন ভেহিকল-১ (এমইভি-১)’ নামের স্পেসক্রাফটি কক্ষপথে পৌঁছে যুক্ত হয়েছে ‘ইনটেলস্যাট ৯০১’ নামের স্যাটেলাইটের সঙ্গে, এই কমিউনিকেশন স্যাটেলাইটটি ১৮ বছর ধরে কক্ষপথে রয়েছে।
এই মহড়ার পেছনে বিজ্ঞানীদের প্রত্যাশা হচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে স্পেশালাইজড স্যাটেলাইটগুলো কক্ষপথে থেকে নিয়মিতভাবে পুরোনো স্যাটেলাইটগুলোয় জ্বালানি সরবরাহ করতে পারবে। ফলে কক্ষপথে থাকা পুরোনো স্যাটেলাইটগুলো দীর্ঘমেয়াদী হবে। এছাড়া যদি প্রয়োজন পড়ে, তাহলে সহায়ক স্যাটেলাইটের সাহায্যে পুরোনো স্যাটেলাইটের কক্ষপথের পরিবর্তনও করা যাবে।
অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি প্রত্যাশা হচ্ছে, মহাকাশ বর্জ্যের পরিমাণ কমাতেও ভূমিকা রাখতে পারবে সহায়ক স্যাটেলাইটগুলো।
নর্থ্রপ গ্রুমম্যানের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান স্পেস লজিস্টিকের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো আন্ডারসন বলেন, ‘ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনো স্যাটেলাইটে ডকিং করা হয়েছে, ডকিং-এর কথা মাথায় রেখে স্পেসক্রাফটিকে প্রথমে তৈরি করা হয়নি।’
নতুন এই পদক্ষেপে, ইনটেলস্যাট ৯০১ কক্ষপথ পরিবর্তন করে এমইভি-১ এর সাথে ডক বা যুক্ত হয়। জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় গত ডিসেম্বর থেকে নিস্ক্রিয় হয়ে পড়ে পুরোনো স্যাটেলাইটটি। এমইভি-১ এর মাধ্যমে স্যাটেলাইটটির মেয়াদ আরো পাঁচ বছর বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
নর্থ্রপ গ্রুমম্যাপের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এমইভি-১ এর মতো স্পেসক্রাফট কেবল একটি স্যাটেলাইটের পরিষেবার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। যখন এমইভি-১ এর পরিষেবা গ্রাহকের আর লাগবে না, তখন এটি আন-ডক হয়ে অন্য গ্রাহকের স্যাটেলাইটের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে।