অ্যালফাবেট নিয়ন্ত্রণাধীন বৈশ্বিক সার্চ জায়ান্ট গুগল চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে অফিস ও তথ্যকেন্দ্রের সক্ষমতা বাড়াতে ১ হাজার কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছে। গুগলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুন্দর পিচাই এ বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মোট ১১টি অঙ্গরাজ্যে বিনিয়োগ করা হবে।
ব্লগ পোস্টে সুন্দর পিচাই বলেন, আমরা যেখানেই বিনিয়োগ করি না কেন, সবসময় আমরা স্থানীয় বাজারে অর্থবহ সুযোগ সৃষ্টির চেষ্টা করি। এতে আমাদের বড় অংকের বিনিয়োগের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ডজনখানেক অঙ্গরাজ্য এবং এর আশপাশের শহরগুলোয় কয়েক হাজার নতুন কর্মস্থান সৃষ্টি হবে। যেখানে স্থানীয়দের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে। আমাদের ডাটা সেন্টারগুলোর নির্মাণকাজ এবং নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার স্থানীয় ব্যবসায়ে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ২৬টি অঙ্গরাজ্যে গুগলের উপস্থিতি রয়েছে। এর মধ্যে ১১টি রাজ্যে বিনিয়োগের কথা ভাবছে প্রতিষ্ঠানটি। গুগল নতুন করে বিনিয়োগ করবে, এমন ১১টি অঙ্গরাজ্য হলো ওয়াশিংটন, ক্যালিফোর্নিয়া, কলোরাডো, জর্জিয়া, ম্যাসাচুসেটস, নেব্রাস্কা, নিউইয়র্ক, ওকলাহোমা, ওহাইও, পেনসিলভানিয়া ও টেক্সাস।
গুগল গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের ডাটা সেন্টার ও কার্যালয়গুলোয় ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের বেশি ব্যয় করেছে। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, গত বছর চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর- ডিসেম্বর) মোট ব্যয় ১৯ শতাংশ বেড়ে ৩ হাজার ৬৮১ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। গুগল তাদের মাউন্টেনভিউ প্রধান কার্যালয়ের কাছের একটি নতুন অফিস বিল্ডিং ভাড়া দিয়েছে। বর্তমানে সান জোসে ও মাউন্টেনভিউর উত্তর অঞ্চলে বৃহৎ একটি কার্যালয় নির্মাণ করতে চাইছে। এছাড়া গুগল সিসেন্টেকের রিয়েল এস্টেট পোর্টফোলিওর সান্টা ক্লারা কাউন্টির বৃহত্তম অফিস ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের বিনিময়ে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
ব্লগ পোস্টে সুন্দর পিচাই জানান, গত বছর তথ্যকেন্দ্র ও অফিসগুলোয় যে পরিমাণ বিনিয়োগ করা হয়েছিল, চলতি বছর তার চেয়ে বেশি বিনিয়োগ করবে।