এয়ার কন্ডিশনারে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট ঘোষণা করলো বাংলাদেশি মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড ওয়ালটন। এখন ওয়ালটনের যেকোনো মডেলের স্পিøট এসি কিনলে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা পাবেন ক্রেতারা। পাশাপাশি ওয়ালটনের ইনভার্টার এসির কম্প্রেসরে রয়েছে ১০ বছরের গ্যারান্টি। আর নন-ইনভার্টার কম্প্রেসরের গ্যারান্টি ৩ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫ বছর করেছে ওয়ালটন। বাংলাদেশে একমাত্র ওয়ালটনই এসিতে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা দিচ্ছে।
জানা গেছে, দেশেই নিজস্ব কারখানায় নিবিড় তত্ত্বাবধানে এসি তৈরি করছে ওয়ালটন। এসির মান উন্নয়ণে ওয়ালটনের রয়েছে শক্তিশালী আরএন্ডডি (গবেষণা ও উন্নয়ন) টিম। যারা প্রতিনিয়ত এসির ডিজাইন এবং মান নিয়ে গবেষণা করছেন। ফলে ওয়ালটন এসিতে যুক্ত হচ্ছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার। বেড়েছে মান। যার ফলে এসির রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি এক বছরে উন্নীত করলো ওয়ালটন।
এ উপলক্ষ্যে ওয়ালটন সম্প্রতি আয়োজন করে এক ডিক্লারেশন প্রোগ্রামের। রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন করপোরেট অফিসে অনুষ্ঠিত ওই ডিক্লারেশন প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রিজওয়ানা নিলু, ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্ক বিভাগের প্রধান এমদাদুল হক সরকার, প্লাজা সেলস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান মো. রায়হান, ওয়ালটন এসির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) মো. তানভীর রহমান, চিফ টেকনিক্যাল অফিসার (সিটিও) ওয়াল্টার কিম এবং নির্বাহী পরিচালক ড. মো. সাখাওয়াৎ হোসেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক এস এম জাহিদ হাসান এবং উদয় হাকিম, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফিরোজ আলম, শাহজাদা সেলিম এবং মো. কামরুজ্জামান এবং অ্যাডিশনাল অপারেটিভ ডিরেক্টর মফিজুর রহমান জাকির, এসির গবেষণা ও উন্নয়ণ (আরএন্ডডি) বিভাগের প্রধান সন্দীপ বিশ্বাস প্রমুখ।
মো. তানভীর রহমান বলেন, ক্রেতাচাহিদা অনুযায়ী বিশ্বের যেকোনো দেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও আবহাওয়া উপযোগী এসি তৈরিতে সক্ষম ওয়ালটন। কাঁচামাল থেকে শুরু করে উৎপাদনের প্রতিটি ধাপে কঠোরভাবে মান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ফলে ওয়ালটন এসিতে সমন্বয় ঘটেছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের। দেশের এসি বাজারে এখন শীর্ষে ওয়ালটন। এরই প্রেক্ষিতে একমাত্র ওয়ালটন এসিতেই দেয়া হচ্ছে ১ বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা। বাংলাদেশে ওয়ালটনের নিজস্ব কারখানায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, মেশিনারিজ, আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ ও কাঁচামালে তৈরি আন্তর্জাতিকমানের এসব এসি রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। সম্প্রতি ভারতে বিপুল পরিমাণ এসি রপ্তানি শুরু করেছে ওয়ালটন।
তিনি জানান, ওয়ালটনের আরএন্ডডি টিমের নিরলস গবেষণায়, ভয়েস কমান্ড, থার্ড আই, ফ্রস্ট ক্লিন এবং ই-রিপিলার প্রযুক্তির এসি তৈরি হচ্ছে। খুব শিগগিরই এ প্রযুক্তির এসি বাজারে আসবে।
সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য ওয়ালটন তৈরি করছে আইওটি বেজড ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী স্মার্ট ও ইনভার্টার এসি। এসব এসিতে ব্যবহৃত ইনভার্টার প্রযুক্তির কম্প্রেসর বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত। কম্প্রেসরে ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব এইচএফসি গ্যাসমুক্ত আর৪১০এ এবং আর৩২ রেফ্রিজারেন্ট। রয়েছে টার্বোমুড ও আয়োনাইজার প্রযুক্তি, যা দ্রুত ঠান্ডা করার পাশাপাশি রুমের বাতাসকে ধুলা-ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত করে। কন্ডেন্সারে ব্যবহার করা হচ্ছে মরিচারোধক গোল্ডেন ফিন কালার প্রযুক্তি। যার ফলে ওয়ালটন এসি টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী। ওয়ালটনের স্মার্ট এসি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
চলতি বছর ২.৫ লাখ এসি বিক্রির টার্গেট নিয়েছে ওয়ালটন। সেই লক্ষ্য পূরণে নতুন নতুন মডেলের ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার, আয়োনাইজার ও আইওটি বেজড স্মার্ট এসি বাজারে ছাড়া হয়েছে। পাশাপাশি, স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, হোটেলের মতো মাঝারি স্থাপনার জন্য ৪ ও ৫ টনের ক্যাসেট ও সিলিং টাইপ এসি ব্যাপকভাবে বাজারজাত করছে ওয়ালটন। আর বড় স্থাপনার জন্য ওয়ালটনের রয়েছে ভেরিয়্যাবল রেফ্রিজারেন্ট ফ্লো বা ভিআরএফ (ঠজঋ) এবং চিল্লার (ঈযরষষবৎ) এসি।
এদিকে, কাস্টমার ডাটাবেজ তৈরির মাধ্যমে অনলাইনে আরো দ্রুত ও উন্নত বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ওয়ালটন চালাচ্ছে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। এর আওতায় ওয়ালটন এসির ক্রেতাদের জন্য রয়েছে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশ ক্যাশব্যাক এবং ১২ বছর পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল ফ্রি পাওয়ার সুযোগ। এছাড়া, ওয়ালটন এসির সব ক্রেতার জন্যই আছে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় সারা দেশে রয়েছে ৭৪টি সার্ভিস সেন্টার। ওয়ালটনের দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলী এবং টেকনিশিয়ানগণ প্রতি ১০০ দিন পর পর এসির ক্রেতাদের ফ্রি সার্ভিসিং দিচ্ছেন।