কর্মক্ষেত্রে লৈঙ্গিক বৈচিত্র্যের উপর গুরুত্বারোপ করে এবং এ বছরের নারী দিবসের বৈশ্বিক প্রতিপাদ্য #ইচফরইক্যুয়াল- এর সমর্থনে গতকাল রাজধানীর বসুন্ধরায় অবস্থিত জিপি হাউজ ও সারা দেশে সব বিজনেস সার্কেলে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২০ উদযাপন করলো গ্রামীণফোন। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বাস করে, লৈঙ্গিক সমতা একটি প্রতিষ্ঠান কর্মক্ষেত্রে ভালো ফল নিয়ে আসে।
অনুষ্ঠানের মূল বক্তা হিসেবে বিজিএমইএর সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, ‘ যেকোন সম্পর্কের সাফল্য নির্ভর করে পারস্পরিক সম্মানবোধের উপর। এ বছরের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্যে সবার জন্য সমতার (ইচ ফর ইক্যুয়াল) বিষয়টিকে সামনে আনা হয়েছে। আমাদের ভালো থাকার জন্য যেখানে নারী ও পুরুষদের সমানভাবে দেখতে বলা হয়েছে। আমাদের ইচ্ছা পুরণের পথে কোন বাধাই যেন বাধা না হয়ে উঠে। আমাদের প্রিয়জনদের জন্য সময় থাকা উচিত। আপনাদের ইচ্ছাপূরণে এগিয়ে যান এবং কোন কিছু নিয়ে আফসোস করবেন না। নারী নেতৃত্বকে উৎসাহিত করার জন্য সুন্দর পরিবেশ তৈরিতে এবং সবার জন্য সমতার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নেয়ার জন্য গ্রামীণফোনকে আমি ধন্যবাদ জানাই।’
বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে লৈঙ্গিক বৈচিত্র্যকে উৎসাহিত করে পরিবর্তনের প্রবর্তক হিসেবে কাজ করে আসছে গ্রামীণফোন।
এ নিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের ভেতরে সবার অংশগ্রহণমূলক সংস্কৃতি নির্মাণের জন্য আরও অধিক ভারসাম্যপূর্ণ ও সমতাভিত্তিক কর্মপরিবেশ তৈরিতে আমরা কাজ করছি। বিজনেস ইন্টেলিজেন্স, ডাটা অ্যানালিটিকস ও সেলস অপারেশনের মূল জায়গাগুলোসহ প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য ভূমিকায় আমরা নারীদের নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জন করছি। পাশাপাশি আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অংশ গ্রহণে “ইন্সপিরিট”- প্ল্যাটফর্মের সাথে সহযোগিতামূলক অংশীদার হিসেবে কাজ করছি। কর্মক্ষেত্রে লৈঙ্গিক-পক্ষপাতদুষ্ট পদবির সংস্কৃতি দূর করে সমাজ প্রচলিত ধারণা পরিবর্তন করাই আমাদের লক্ষ্য। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা সবার জন্য লৈঙ্গিক সমতাপূর্ণ কর্ম পরিবেশ গড়তে পারবো।’
অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে সমতাভিত্তিক কর্মপরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে বছরজুড়ে গ্রামীণফোনের বিভিন্ন কার্যক্রম প্রদর্শন করা হয়। গ্রামীণফোনের প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভীর হোসেনসহ প্রতিষ্ঠানটির অন্য কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে এর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন।