বিশ্বজুড়ে এখন করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ চলছে। এ বছরই ফাইভ–জি নেটওয়ার্ক–সমর্থিত প্রথম আইফোন আনার কথা মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের। কিন্তু বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, করোনার প্রভাব অ্যাপলের ওপর ভালোভাবেই পড়তে যাচ্ছে। ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদন বলছে, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় এ বছর ফাইভ-জি আইফোন বাজারে আসতে দেরি হবে।
ব্যাংক অব আমেরিকার একজন বিশ্লেষক ব্লুমবার্গকে বলেছেন, এ বছর খুব তাড়াতাড়ি নতুন আইফোন পাওয়ার আশা করে লাভ নেই। নতুন আইফোন যে সময় আসে, এবার এর চেয়ে এক মাসের বেশি দেরি হতে পারে। এ ছাড়া নতুন যে আইফোন ১২ ও আইফোন ৯ মডেল বাজারে আসার গুঞ্জন রয়েছে, তাতেও বাধ সাধতে পারে করোনাভাইরাস। বিশ্বজুড়েই আইফোনের চাহিদা কমে গেছে। এ ছাড়া সাপ্লাই চেন নিয়েও তৈরি হয়েছে সমস্যা। ফলে নতুন আইফোনের জন্য কয়েক মাস পর্যন্ত অ্যাপলভক্তদের অপেক্ষায় থাকতে হবে।
নতুন আইফোন নিয়ে অনলাইনজুড়ে কয়েক মাস ধরেই চলছে নানা গুঞ্জন। প্রযুক্তিবিষয়ক নানা ওয়েবসাইটে সম্ভাব্য আইফোন ১২ প্রো নিয়ে নানা তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
ফাঁস হওয়া তথ্য অনুযায়ীনতুন এই ফোনে সবথেকে বড় পরিবর্তন এসেছে আইফোন ১২ প্রো এর ক্যামেরা ও ব্যাটারিতে । আইফোন ১২ ফোন থাকবে সনির তৈরি ৬৪ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা সেন্সর ও ৪৪০০ এমএএইচ ব্যাটারি ।
নতুন আইফোনে থাকতে পারে আগের তুলনায় প্রায় ১০% বড় ব্যাটারি, যা নতুন ৫জি নেটওয়ার্ক হার্ডওয়্যারকে পাওয়ার ব্যাকআপ দিতে পারবে বলে ধারণা করছে প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা ।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন আইফোন বাজারে আসার বিষয়টি নির্ভর করছে এপ্রিল ও মে মাসের দিকে পণ্য তৈরির বিষয়টির ওপরে। ধারণা করা হচ্ছে, মার্চের শেষ দিক থেকে চীনা কারখানাগুলোয় আবার স্বাভাবিক উৎপাদন শুরু হবে। গত মাস থেকে করোনার কারণে চীনা কারখানাগুলোয় উৎপাদন বন্ধ রাখতে হয়েছিল।
অ্যাপলের পক্ষ থেকে সম্প্রতি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তারা এ বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ প্রান্তিকে আয়ের পূর্বাভাস ছুঁতে পারবে না। তারা নিয়মিত করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং এপ্রিল মাসে প্রান্তিক আয় নিয়ে বাড়তি তথ্য জানাবে।
ব্লুমবার্গের আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিম কুক করোনাভাইরাসের উদ্বেগের জন্য কর্মীদের আগামী কয়েক দিন বাড়ি থেকে কাজ করতে বলেছেন। তবে অ্যাপলের স্টোরগুলোয় কর্মরত কর্মীদের এ সুযোগ নেই। গত মাসে অ্যাপলের পক্ষ থেকে চীনে অ্যাপলের রিটেইল দোকানগুলো সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়।