চীনা সরকার যে টিকটক অ্যাপ নিয়ন্ত্রণ করে না, সে বিষয়টি আবারও নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। চীন বাদে বাইরের কোনো দেশের কনটেন্ট চীনা মডারেটর দিয়ে পরীক্ষা করাবে না টিকটক।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেটের প্রতিবেদন বলছে, সামাজিক মাধ্যম কাঠামোর এ প্রতিষ্ঠানটির সাম্প্রতিক এ পদক্ষেপটির কারণে একশ’রও বেশি মডারেটরকে হয় মূল প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সে অন্য কাজ খুঁজে নিতে হবে, না-হয় চাকরি ছেড়ে দিতে হবে। নতুন এ পদক্ষেপটির আগে যুক্তরাষ্ট্রের টিকটক ব্যবহারকারীদের জন্য চীনা নন এমন মডারেটর না রাখা এবং নিজ কার্যালয়ে স্বচ্ছতা কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা হাতে নেওয়ার মতো পদক্ষেপ নিয়েছিল টিকটক।
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেছে টিকটক। তাত্ত্বিক হিসেব বলছে, অঞ্চলভিত্তিক-মডারেটর রাখার মতো সিদ্ধান্তটির কারণে টিকটকে রাজনৈতিক বিবৃতি বা চীনা সরকার পছন্দ করে না এমন কনটেন্ট সেন্সরের আওতায় পরার ঝুঁকি কমে যাবে।
পদক্ষেপটি সাংস্কৃতিক বোঝাপড়াতেও প্রভাব ফেলবে বলে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইটটি। মডারেটর ও ব্যবহারকারীদের ভাষা ও অঞ্চল এক হওয়ার সুফল চোখে পড়বে এ পদক্ষেপটির কারণে।
উল্লেখ্য, টিকটকের মালিক প্রতিষ্ঠান ‘বাইটড্যান্স’ চীনা প্রতিষ্ঠান হওয়ায় গোপনতা ও সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর দিক থেকে প্রশ্ন উঠেছে বহুবার।
ওই শঙ্কায় এরইমধ্যে সরকারি ডিভাইসে টিকটক অ্যাপ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী। ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ডেটা চীনের সার্ভার পাঠানো হয় এমন অভিযোগ তুলে গত বছরের শেষে টিকটকের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের এক শিক্ষার্থী। ওই মামলা দায়ের হওয়ার আগেই ডেটা সংরক্ষণ ও রাজনৈতিক স্পর্শকাতর কনটেন্ট সেন্সর প্রশ্নে টিকটকের নামে তদন্ত শুরু করেছিল মার্কিন সরকার।