বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ (এসইসি) কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ-উপদেষ্টা এ.বি. মির্জা মোঃ আজিজুল ইসলাম বলেন, দেশে সরকারি ও বেসরকারি খাতে দেশি- বিদেশী অনেক লাভজনক কোম্পানি আছে। লাভজনক এসব কোম্পানিকে শেয়ার বাজারে আনার উদ্যোগ নিতে হবে। সেজন্য তিনি এসইসি, ডিএসই, সিএসই এবং অর্থমন্ত্রণালয়কে সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
সম্প্রতি ওয়ালটনসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে আসার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ওয়ালটন নিঃসন্দেহে ভালো, সন্তোষজনক ও লাভজনক প্রতিষ্ঠান। এর যথেষ্ট সুনাম আছে। দেশের ভেতরে ওয়ালটন পণ্যের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। তাদের পণ্য রপ্তানিও হচ্ছে। ওয়ালটন নিঃসন্দেহে ভালো কোম্পানি। এর যথেষ্ট সুনাম আছে।
তিনি মনে করেন, ওয়ালটন পুঁজিবাজারে এলে বিনিয়োগকারীদের জন্য ভালো হবে। এ ধরনের কোম্পানিগুলোর আরো বেশি শেয়ারবাজারে আসা উচিত। সেজন্য সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা নেয়া দরকার। মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোরও পুঁজিবাজার স্থিতিশীল রাখার বিষয়ে আরো বেশি ভূমিকা রাখা জরুরি।
পুঁজিবাজারকে গতিশীল করার ক্ষেত্রে সরকারের দেয়া প্রণোদনা প্রসঙ্গে মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, প্রণোদনা দিয়ে পুঁজিবাজারের উন্নতি সম্ভব নয়। এটা অনেকটা সাময়িক ওষুধ দেওয়ার মতো, স্থায়ী সমধান নয়। মূল বিষয় হচ্ছে, বিনিয়োগকারীদের আরো শানিত করতে হবে। যাতে তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়। একই সঙ্গে নতুন নতুন ভালো কোম্পানি আনার সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসাবেও আমরা এশিয়ার ভেতরে অনেক পিছিয়ে আছি।
পুঁজিবাজারে নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত না হওয়া প্রসঙ্গে এসইসি’র এই সাবেক চেয়ারম্যান বলেন, শেয়ার বাজারে নতুন কোম্পানির ইস্যু আনার ক্ষেত্রে এসইসি, ডিএসই, সিএসই এবং অর্থমন্ত্রণালয়ের মধ্যে সম্মিলিত প্রচেষ্টা খুব একটা লক্ষ্য করা যায় না। আবার মার্চেন্ট ব্যাংকসহ অন্যান্যরাও এ বিষয়ে কিছু করতে পারছে না। যদিও দুই বছরে অন্তত একটা ভালো ইস্যু না আসে তাহলে লাইসেন্স বাতিল করার নিয়ম আছে। তাও বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আবার যখন নতুন কোম্পানি মার্কেটে আসতে চায় তখন তাদের ভ্যালুয়েশন নিয়ে হাজার ধরনের সমস্যা তৈরি হয়।