দেশে-বিদেশে প্রিয়জনের সুখ-দুঃখের খবর নিতে, পেশাগত কারণে বা আরো নানা প্রয়োজনে মোবাইল-ই ভরসা। তাই ডাটা কিংবা টকটাইমের জন্যে মোবাইল রিচার্জ করা জরুরি হয়ে পড়ে যখন-তখন। আর সেই জরুরি সময়েই কাজটি করা এখন সবচেয়ে সহজ হয়েছে বিকাশ-এ। এমনি করেই মোবাইল রিচার্জ সহ প্রতিদিনের নানান আর্থিক লেনদেন এখন যে কোন সময় যে কোন স্থান থেকে অনায়েসে করা সম্ভব বিকাশ দিয়ে। ফলে নগদ টাকার ঝুঁকি এড়িয়ে, স্থান-কাল-পাত্রের বাধা ডিঙিয়ে সহজ, ঝামেলাহীন ও নিরাপদ ডিজিটাল লেনদেন এখন বাংলাদেশেই সম্ভব। বিশেষ করে অতি জরুরী পরিস্থিতি যেমন- প্রাকৃতিক দূযোর্গ, স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি কিংবা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে বিকাশের মত ডিজিটাল লেনদেনই হয়ে উঠে গ্রাহকের সহায়।
দেশের বৃহত্তম মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ থেকে একজন গ্রাহক যত ধরনের সেবা পেতে পারেন তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা বিকাশ অ্যাপের ‘মোর’ বা ‘আরো’ অপশন ক্লিক করেই একসাথে দেখতে পাবেন গ্রাহক। সেন্ড মানি, ক্যাশ আউট, মোবাইল রিচার্জের মত বহুল ব্যবহৃত সেবাগুলো ছাড়াও যে সেবাগুলো দ্রুত গ্রাহকের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে- সেরকম কয়েকটি সেবার কথা এখানে উল্লেখ করা হ’ল।
বিকাশে টাকা আনা
বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা আনতে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ভরসা ছিল কেবল এজেন্ট পয়েন্টগুলোই। তবে সময়ের ব্যবধানে এখন একজন গ্রাহক কোথাও না গিয়ে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের টাকা নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্টে নিয়ে আসতে পারেন। ভিসা কার্ড হোক বা মাস্টারকার্ড, ক্রেডিট কার্ড হোক বা ডেবিট কার্ড বিকাশ অ্যাপ এর এর ‘অ্যাড মানি’ অপশন থেকে কার্ড টু বিকাশ নির্বাচন করে কার্ডের তথ্য দিয়ে মুহুর্তেই নিজের বা স্বজনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা নিয়ে আসতে পারবেন গ্রাহক।
যে গ্রাহক অনলাইন ব্যাংকিং এ অভ্যস্ত তারা দেশের ১১টি বেসরকারি ব্যাংকের অ্যাপ অথবা ইন্টারনেট ব্যাংকিং থেকেও নিমিষেই টাকা আনতে পারেন বিকাশে।
অর্থাৎ রাত হোক বা দিন, শহর হোক বা প্রত্যন্ত গ্রাম যখনই প্রয়োজন তখনই টাকা বিকাশে আনার এই অত্যাধুনিক সেবা গ্রাহককে নিজের টাকা ব্যবহারে আরো বেশি স্বাধীনতা ও সক্ষমতা দিয়েছে।
কেনাকাটার পেমেন্ট নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য হোক বা ফ্যাশন পণ্য, জীবন রক্ষাকারী ঔষধ হোক বা জীবন সাজানোর পণ্য, বড় সুপার স্টোর হোক বা গলির ছোট দোকান অথবা অনলাইন মার্কেট প্লেস সর্বত্রই বিকাশ ব্যবহার করে পণ্যের দাম পরিশোধ সম্ভব। সারাদেশে বড়-ছোট মিলিয়ে ১ লাখের বেশি বিকাশ মার্চেন্ট রয়েছে। ফলে গ্রাহক নগদ টাকা ব্যবহার না করেই পেমেন্টের মাধ্যম হিসেবে ডিজিটাল অর্থ ব্যবহার করতে পারেন। এই মুহুর্তে ফার্মেসি থেকে ঔষধ কিনে বিকাশ পেমেন্টে মিলছে ৫ শতাংশ সর্বোচ্চ ৫০ টাকা পর্যন্ত ছাড়। অফার ক্লিক করলে ফার্মেসির তালিকাটাও গ্রাহক পেয়ে যাবেন এলাকা ভেদে। ফলে ঘরে বসেই কেনাকাটা সারতে বিকাশ পেমেন্টের সুযোগ নিতে পারেন গ্রাহক। এছাড়া বিকাশ-এ কেনাকাটায় কি অফার চলছে তা বিকাশ অ্যাপের অফার অংশ থেকে সহজেই জেনে নিতে পারেন গ্রাহক।
পে-বিল ডেসকো হোক বা পল্লীবিদ্যুৎ, পোস্টপেইড হোক বা প্রিপেইড, সারাদেশের সব বিদ্যুৎ বিল এখন পরিশোধ করা যাচ্ছে বিকাশ দিয়েই। যে যেখানেই থাকুন, কোথাও না গিয়ে নিরিবিছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করতে পারেন বিকাশ দিয়েই। কেবল বিদ্যুৎ বিল ই নয় আরো অনেক জরুরি সেবার বিল পরিশোধ করা যাবে। গ্রাহক পে বিল এর তালিকা থেকে সহজেই তার বিলার নির্বাচন করতে পারবেন।
আরো সেবা
সাম্প্রতিক সময়ে বিকাশ অ্যাপের মেনুতে যোগ হয়েছে ‘মোর’ বা ‘আরো’ অপশন।
এই অপশনে যুক্ত হয়েছে ইন্স্যুরেন্স পেমেন্ট, ট্রাভেল বুকিং, শপিং, ট্রান্সফার মানি, টিকিট অপশনগুলো।
ইন্স্যুরেন্স: বিকাশ অ্যাপ থেকে খুব সহজেই মিলভিক বাংলাদেশের জীবনবীমা বা স্বাস্থ্যবীমা প্রকল্প গ্রহণ করতে পারেন গ্রাহক। ইন্স্যুরেন্স অপশন থেকে হেলথ অথবা লাইফ এ ক্লিক করলেই বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন গ্রাহক এবং তার প্রয়োজন ও পছন্দ অনুসারেই নিতে পারবেন ইন্স্যুরেন্স পরিকল্পনা। বিকাশের মাধ্যমে এই ইন্স্যুরেন্স সেবা নিতে গ্রাহককে বাড়তি সময় নষ্ট করতে হবে না।
টিকিট: বিমান, বাস, লঞ্চ, ট্রেন বা মুভি টিকিট এখন বিকাশ দিয়ে কেনা যায় অনায়েসে। বাংলাদেশ রেলওয়ে, বিডিটিকিটস এর মাধ্যমে যাত্রার তারিখ, সময় নির্ধারন করে মুহুর্তেই টিকিট কিনতে পারছেন গ্রাহক।
ট্রান্সফার মানি: এই অপশন থেকে সিটি ব্যাংক এবং ব্র্যাক ব্যাংকের গ্রাহকরা এখন বিকাশ থেকে সরাসরি টাকা পাঠানোর সুযোগ পাচ্ছেন তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে।
ডোনেশন:
১টাকায় আহার: তাদের কার্যক্রম দিয়ে ইতোমধ্যেই সাধারনের পাশে দাড়িয়েছে। বর্তমানের এই কঠিন পরিস্থিতিতে ১ টাকায় আহার এর উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন নতুন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। তারা তাদের স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নানান কার্যকারি উদ্যোগ নিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটির পাশে দাঁড়াতে বিকাশ এর মাধ্যমেই অনুদান দেয়া যাচ্ছে। গ্রাহকদের সুবিধার্থে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের লোগো সরাসারি সংযোজিত হয়েছে বিকাশ অ্যাপের সাজেশন বক্সে। এখানে ক্লিক করে খুব সহজেই এই প্রতিষ্ঠানটিকে অর্থ সহায়তা দিতে পারছেন বিকাশ গ্রাহক।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের মত সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করছে এমন আরো কয়েকটি সংগঠনকে অনুদানের দেয়া যায় বিকাশ অ্যাপ থেকেই। বিকাশের সাজেশন বক্সের ডোনেশন-এ গিয়ে পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে বিকাশ অ্যাপ থেকেই ইচ্ছা অনুসারে অনুদান দিতে পারেন গ্রাহক।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ সহ সারাবিশ্ব লড়ছে করোনা ভাইরাসের সাথে। সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে এবং নগদ টাকার ব্যবহার এড়িয়ে ব্যাংক, মার্কেট এর মত জনসমাগমে না গিয়েঘরে বসেই ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবহার করে ঝুঁকিমুক্ত থাকতে পারেন গ্রাহক।