নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সংকটপূর্ণ পরিস্থিতিতে ফাইভজি স্পেকট্রাম লাইসেন্স প্রদানের পূর্বনির্ধারিত নিলাম স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রিয়া সরকার। আগামী এপ্রিলে ৭০০, ১ হাজার ৫০০ ও ২ হাজার ১০০ মেগাহার্টজ—এ তিন ব্যান্ডের জন্য স্পেকট্রাম নিলাম হওয়ার কথা ছিল। নতুন দিনক্ষণ সম্পর্কে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো ঘোষণা আসেনি। অস্ট্রিয়ান রেগুলেটরি অথরিটি ফর ব্রডকাস্টিং অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশনস (আরটিআর) সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে। খবর টেলিকম লিড।
মূলত পিছিয়ে থাকা সম্প্রদায়ের কাছে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যেই অস্ট্রিয়ার সরকার নতুন করে ফাইভজি স্পেকট্রামের নিলামের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নিলামে অংশগ্রহণকারী টেলিকম অপারেটররা প্রয়োজনীয় ন্যূনতম সংখ্যার জন্য তো বটেই, পাশাপাশি এর চেয়ে বেশি সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে ইন্টারনেট সেবা দিতেও স্পেক্ট্রাম কিনতে পারবেন। এক্ষেত্রে তারা স্পেকট্রামের ক্রয়মূল্যের ওপর ডিসকাউন্ট সুবিধা পাবেন।
এর আগে এক নিলামে অস্ট্রিয়া সরকার ১২টি অঞ্চলের জন্য তিনটি ন্যাশনাল মোবাইল অপারেটর ও চারটি স্থানীয় অপারেটরের কাছে ৩ দশমিক ৪ থেকে ৩ দশমিক ৮ গিগাহার্টজ ব্যান্ডের ফাইভজি লাইসেন্স বিক্রি করেছিল। এর মাধ্যমে সরকার ১৮ কোটি ৮০ লাখ ইউরো বা ২১ কোটি ৩০ লাখ ডলারের রাজস্ব আয় করেছিল।
প্রথম নিলামে যে তিনটি ন্যাশনাল অপারেটর ফাইভজির স্পেক্ট্রাম কিনেছিল, সেগুলো হলো এ ওয়ান টেলিকম অস্ট্রিয়া, ম্যাজেন্টা টেলিকম ও ড্রেই অস্ট্রিয়া। ম্যাজেন্টা টেলিকমের মূল প্রতিষ্ঠান ডয়েচে টেলিকম জানিয়েছে, অস্ট্রিয়ায় ফাইভজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের জন্য তারা ২০২১ সাল পর্যন্ত ১০০ কোটি ইউরো বিনিয়োগ করবে। এ ওয়ান টেলিকমের মূল কোম্পানি এ ওয়ান গ্রুপ জানিয়েছে, তারা রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে তাদের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও উন্নতকরণে সহায়তা দেবে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রিয়ার রেল কোম্পানি ওইবিবি, মোটরওয়ে অপারেটর আসফিনাগ ও রেসিডেনশিয়াল প্রোপার্টি গ্রুপ বিআইজি।
আগের নিলামে ন্যাশনাল অপারেটরগুলো ১২টি অঞ্চলের সবগুলোতেই ফাইভজি সেবা প্রদানের লাইসেন্স পেয়েছে। আর চারটি স্থানীয় অপারেটরের প্রত্যেকে তিনটি করে অঞ্চলের জন্য লাইসেন্স পায়।
নিলামে সবচেয়ে বেশি ৬ কোটি ৪৩ লাখ ইউরো দরপ্রস্তাব করেছিল এ ওয়ান টেলিকম। ম্যাজেন্টা টেলিকমের প্রস্তাব ছিল ৫ কোটি ৬৯ লাখ ইউরো। আর ড্রেই অস্ট্রিয়ার প্রস্তাব ছিল ৫ কোটি ১৯ লাখ ইউরো।
উল্লিখিত ফাইভজি লাইসেন্সের অন্যতম শর্ত হলো, ন্যাশনাল অপারেটর তিনটি আগামী বছরের ৩১ ডিসেম্বর নাগাদ নির্ধারিত ১২টি অঞ্চলজুড়ে অন্তত ৩০৩টি বেজ স্টেশন স্থাপন করবে।