আমেরিকার কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের যে সব নাগরিক চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে চাচ্ছেন না তাদের পায়ে বিশেষ এক ধরনের ব্রেসলেট পরিয়ে দিচ্ছে প্রশাসন। সেই ব্রেসলেটকে ‘প্রযুক্তির শেকল’ আখ্যা দিয়ে অনেকে আবার সেটিও পরতে চাইছেন না!
যারা কভিড-১৯ রোগে পড়া মানুষের সংস্পর্শে এসেছেন তাদের পায়ে মূলত এই যন্ত্রটি পরানো হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ঘর থেকে বের হলেই ওই যন্ত্রের মাধ্যমে পুলিশের কাছে সংকেত পৌঁছে যায়।
সম্প্রতি এক ব্যক্তি চিকিৎসকের পরামর্শ মানতে না চাইলে কেনটাকি আদালত তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশও তিনি মানতে চাননি। প্রায়ই ঘর থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন।
এরপর তার পায়ে ১৪ দিনের জন্য গ্লোবাল পজিশনিং ডিভাইস পরানো হয়।
ওই ব্যক্তির সম্পূর্ণ নাম প্রকাশ করেনি কোনো গণমাধ্যম। সিএনএন ডি.এল লিখেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ডি. এল শুধু একাই নন; রাজ্যটির আরও তিনজনের পায়ে এভাবে ডিভাইস পরানো হয়েছে।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৭৬ হাজার ৯৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে। মোট মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ৪০৬ জন।