করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই সংকটকালে ইন্টারনেট সেবা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা ও ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে ব্যবসায়িক ক্ষতিপূরণে আর্থিক অনুদানসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা চেয়েছে আইএসপিএবি। ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বারের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি ৬১০ কোটি টাকা অনুদান চেয়েছে।
৪ এপ্রিল সংগঠনের সভাপতি আমিনুল হাকিম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, আমাদের ইন্টারনেট সেবাদাতারা করোনা ভাইরাসের এই সময়ে ২৪ ঘণ্টা সেবা দিতে মাঠ পর্যায়ে ফাইবার টিম ও নেটওর্য়াক টিম কাজ করছে। সরকারি নির্দেশনায় সারাদেশ আজ কোয়ারেন্টিন অবস্থায় আছে। কিন্তু বন্ধ হয়নি ইন্টারনেট সেবা। ফলে বাসায় বসেই প্রায় সবাই কাজ অনলাইনে করছেন। এর পেছনের চালিকা শক্তি হিসেবে আইএসপিগুলো কাজ করে যাচ্ছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টার ফলে এখন পর্যন্ত ব্যাংক, বিমা, আউটসোর্সিং, কলসেন্টার, সফটওয়্যার, টেলিমেডিসিন, পোশাকশিল্প, মিডিয়া, হাসপাতাল, ই-কমার্সসহ জরুরি সেবাখাত সাবলীলভাবে চলছে। কিন্তু করোনার প্রভাবে এই বিরূপ পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিকভাবে আমাদের টিকে থাকার ঝুঁকির সৃষ্টি হয়েছে। এ খাতে প্রায় দুই লাখের বেশি মাঠকর্মী কর্মহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে এ খাতে দীর্ঘমেয়াদে অচলাবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। এ খাতকে টিকিয়ে রাখার জন্যই অনুদান চাওয়া হয়েছে।
আমিনুল হাকিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আগামী দুই বছর সব ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের আয়কর প্রত্যাহার, ইন্টারনেট সেবায় সব পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহার, বিটিআরসির সব ধরনের রাজস্ব শেয়ার প্রত্যাহারসহ ৯ দফা দাবি পেশ করেছি আমরা।