করোনাভাইরাস সংকটের কারণে সিমেন্স থেকে ছাঁটাই হবেন না কেউ– সম্প্রতি এমন ভরসার কথাই শোনালেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী জোয়ে কাইজার।
“কার্যক্রমে সাময়িক অস্থিরতার জন্য সিমেন্স ছাড়তে হবে না কাউকে।” – শনিবার বলেছেন কাইজার। “তবে, সংকট মোকাবেলায় স্বল্প-সময়ের জন্য জার্মানির দিকে নিজেদের কার্যক্রম বাড়াতে হবে প্রতিষ্ঠানটিকে। কাঠামোগত পরিবর্তনও আনতে হতে পারে সিমেন্সকে।” — খবর রয়টার্সের।
বেশ কিছু কাঠামোগত পরিবর্তনের দিকে এমনিতেই যেতে হতো জার্মান এই প্রযুক্তি জায়ান্টকে। যেমন, জীবাশ্ম জ্বালানির বদলে নবায়নযোগ্য শক্তি নিয়ে কাজ করার বিষয়টি।
“সাময়িক সংকটে, কোনো দ্বিধা নেই, আমরা সবাই মিলেই এর মোকাবেলা করবো। যখন সংকট শেষ হবে এবং সব আবার ঠিক হতে শুরু করবে, তখন সবাই মিলে এটি সামলে নেব”। – বলেছেন সিমেন্স প্রধান নির্বাহী।
বর্তমানে জার্মানিতে সিমেন্সের এক লাখ ২০ হাজার কর্মীর মধ্যে এক হাজার ছয়শ’ কর্মী স্বল্প-মেয়াদী ভিত্তিতে কাজ করছেন। “এটি যে সামনে বাড়বে না, তা বলতে পারছি না আমি”। – বলেছেন কাইজার।
করোনাভাইরাস বাস্তবতায় চাকরি হারিয়েছেন বিশ্বের বহু প্রতিষ্ঠানের কর্মী। ভালো নেই অনেক বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানও। বিভিন্ন স্থানে নিজেদের কার্যালয় বন্ধ রাখছে মাইক্রোসফট, টুইটার, ফেইসবুক, গুগল ও অ্যাপলের মতো প্রযুক্তি জায়ান্টরা। প্রভাব পড়েছে সরবরাহ চেইনেও।