বর্তমানে করোনা ভাইরাসের জন্য খবরের শিরোনামে রয়েছে চিন। এই দেশেরই এক শহরে প্রথম এই ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল, সেটাই আজ বিশ্ব মহামারীর আকার ধারণ করেছে। এই মহামারীর পিছনে চিনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে অনেক দেশ। এরইমধ্যে ফাঁস হয়ে গেল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তথ্য চুরির অভিযোগ উঠল চিনের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ তুলেছে কানাডার স্মার্টফোন সংস্থা ব্ল্যাকবেরি। এই সংক্রান্ত ৪৪ পাতার একটি রিপোর্ট দিয়েছে ওই সংস্থা। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে চিনের হ্যাকাররা ছদ্মবেশী সফটওয়্যার বানিয়ে তথ্য চুরি করত। প্রায় এক দশক ধরে এই কাজ করেছে চিন।
জানা গিয়েছে বিজ্ঞাপন হিসেবে ওই সফটওয়্যার ঢুকে পড়ে সব তথ্য বের করে আনতে পারত। হ্যাকারদের এরকম অন্তত পাঁচটি গ্রুপকে চিহ্নিত করা গেছে। এদের প্রত্যেকের পেছনে সিমের সরকারের হাত ছিল বলে দাবি করেছে ব্ল্যাকবেরি। যদিও চিন এই হ্যাকিং এর কথা কখনোই স্বীকার করেনি। মূলত লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম কে টার্গেট করেছিল চিন।
আসলেই লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম খুব কমই ব্যবহৃত হয়। গোটা বিশ্বে যত ডেস্কটপ ব্যবহার হয় তার মধ্যে মাত্র ২% এই অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে। ফলে বহু বছর ধরে চিনের এই চুরি ধরতে পারেনি কেউ। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মাইক্রোসফট অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বিশ্বের অন্তত ৫০০ টি সুপার কম্পিউটারের রয়েছে এই সিস্টেম। তাই এই সিস্টেমকে হ্যাক করে অনেক তথ্য হাতিয়ে নেওয়াই ছিল লক্ষ্য।
ব্ল্যাকবেরি দাবি করেছে ২০১২ সালের ১৩ মার্চ থেকে অ্যাকটিভ ভাবে কাজ করছে ওই হ্যাকিং টিম। ইতিমধ্যে অনেক মূল্যবান তথ্য কিভাবে হ্যাক করেছে বলেও দাবি ওই সংস্থার।