বাংলাদেশে ব্লকচেইন প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশ ও গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আয়োজন করা হয়েছে ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ (বিসিওএলবিডি) নামে এক বিজনেস সলিউশন প্রতিযোগিতার।
ব্যাংকিং, পরিচয় ব্যবস্থাপনা, সরবরাহ চেইন, উৎপাদন উৎস, পাবলিক রেজিস্ট্রি এবং অন্যান্য অনেক লেনদেন নির্ভর ব্যবসায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে ব্লকচেইন প্রযুক্তি। আর তাই গত বছরের ডিসেম্বর থেকেই বাংলাদেশের প্রথম ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার, একাডেমিয়া এবং শিল্পের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ও নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত ত্রিপক্ষীয় এক সাংগঠনিক কমিটি।
ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ জানিয়েছে, মার্চ মাস থেকে দেশে করোনা ভাইরাস মহামারীর হুমকির মধ্যেও আয়োজক কমিটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিসিওএলবিডি প্রতিযোগিতাটির আয়োজন চালিয়ে নেন। ২০-২১শে মার্চ সময়ের মধ্যে বিসিওএলবিডি ব্লকচেইন প্রযুক্তির উপর একটি দুই দিনের অনলাইন কর্মশালা (ওয়েবিনার) আয়োজন করে যাতে অংশ নেয় ৪৫০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ওই আয়োজনে সাম্প্রতিক স্নাতকদেরও উপস্থিতি ছিল। এই ওয়েবিনার হংকং ব্লকচেইন সোসাইটির শীর্ষ স্থানীয় কয়েকজন ব্লকচেইন বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছে বলে জানিয়েছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
অনলাইনেই ওই কর্মশালার উদ্বোধন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। ১৪ এপ্রিল সময়সীমার মধ্যে ৬৩টি ব্লকচেইন প্রকল্প জমা দিয়েছেন বিসিওএলবিডি অংশগ্রহণকারীরা।
ওই প্রকল্পগুলোর রায় দিচ্ছে সরকার, একাডেমিয়া এবং শিল্পের শীর্ষস্থানীয় ৫৫ জন নেতা-কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠিত জুরি বোর্ড। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নাম আগামী ৩০ এপ্রিলের পরে ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রতিযোগিতায় পুরস্কার প্রাপ্তদের নগদ পুরষ্কার দেওয়ার পাশাপাশি জুলাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডে অংশ নেওয়ার জন্য-ও স্পন্সর করা হবে।