অনলাইন সেবা থেকে দেশের ৫০ শতাংশ নাগরিক বঞ্চিত হচ্ছেন বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে বলেছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে। সরকার ও বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইনভিত্তিক লেখাপড়া করতে। কিন্তু দেশের অধিকাংশ নাগরিক যখন অনলাইন সেবা থেকে বঞ্চিত, তাহলে কীভাবে দেশের সব শিক্ষার্থী অনলাইন সেবা পাবে এটি অবশ্যই একটি প্রশ্নের বিষয়।’
মুঠোফোন অ্যাসোসিয়েশনের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, দেশের ১৭ কোটি নাগরিককে সেবা দেওয়ার জন্য টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট ব্যবস্থা সেই সঙ্গে গ্রাহকদের সামর্থ্য ও সক্ষমতাই ঘাটতি রয়েছে। বর্তমান দেশের প্রায় ১৬ কোটি সিম সক্রিয় রয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৯ কোটি। তার মধ্যে মুঠোফোনভিত্তিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি ২৫ লাখ। দেশের অধিকাংশ নাগরিকের হাতেই স্মার্টফোন নেই। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ৫০ শতাংশ নাগরিক অনলাইন সেবা থেকে বঞ্চিত।
এ অবস্থায় করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ করেছে অ্যাসোসিয়েশন।
প্রথমত, সবার জন্য অনলাইন সেবা প্রপ্তির বিকল্প নেই। এজন্য করণীয় সবার আগে রাস্তা নির্মাণ করা। অর্থাৎ অধিক তরঙ্গ ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক তৈরি করা।
দ্বিতীয়ত, মোবাইল ডিভাইস প্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতা দূর করে অপারেটরদের মাধ্যমে সহজ কিস্তির মাধ্যমে জামানতবিহীনভাবে গ্রাহকের হাতে পৌঁছানো।
তৃতীয়ত, আইএসপি অপারেটরদের ফিক্সড ইন্টারনেট দেওয়ার ক্ষেত্রে জামানতবিহীন সংযোগ দেওয়া। সেই সঙ্গে প্রতিটি সংযোগে মাসিক চার্জ সর্বোচ্চ ২০০ টাকার অতিরিক্ত না নেওয়া।
চতুর্থত, প্রতিটি স্কুল-কলেজকে অনলাইন সেবার আওতায় আনা। সেই সঙ্গে প্রতিটি স্কুলের প্রত্যেকটি ছাত্র-ছাত্রীর যোগাযোগ নিশ্চিত করে শ্রেণি ক্লাস ও পরীক্ষা নিশ্চিত করা।