কোভিড-১৯ মহামারীতে বেশ বিছু অ্যাপের জনপ্রিয়তা বেড়েছে অনেক এবং টিকটক তাদের মধ্যে একটি। এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে এই অ্যাপের প্রাপ্ত তথ্য কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে তা নিয়ে।
অনেক সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান আছে যারা জনস্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে। সাধারণ ভাষায় এই সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলে ওয়াচডগ। প্রাইভেসি বা গেপনতা বিষয়ে ডাচ ওয়াচডগ ‘ডাচ ডেটা প্রটেকশন অথোরিটি বা ডিপিএ প্রশ্ন তুলেছে শিশুদের ডেটা কীভাবে ব্যবহগার করে প্রতিষ্ঠানটি তা নিয়ে। — খবর রয়টার্সের।
টিকটক কীভাবে শিশু ব্যবহারকারীদের ডেটা ব্যবহার করছে, মূলত সেটাই ওই তদন্তে খতিয়ে দেখা হবে। এদিকে, টিকটক বলেছে, তদন্তের ব্যাপারে ডাচ কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করছে প্রতিষ্ঠানটি। এ প্রসঙ্গে বাইটড্যান্স মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান টিকটকের মুখপাত্র গুডরুন হারমান বলেছেন, “টিকটকের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার সবসময়ই আমাদের ব্যবহারকারীদের গোপনতা ও সুরক্ষা, বিশেষ করে আমাদের স্বল্পবয়সী ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে”।
ডিপিএ এক বিবৃতিতে লিখেছে, “অনেক ব্যবহারকারীর জন্য বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পন্থা, বিশেষ করে বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে। টিকটকের জনপ্রিয়তা গোপনতা সম্পর্কে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে”।
তদন্তে ডিপিএ দেখবে, অ্যাপ যেভাবে ডেটা ব্যবহার করছে তা পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে কিনা, এবং “শিশুদের ব্যক্তিগত ডেটা সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও ব্যবহারে অভিভাবকের অনুমতির প্রয়োজন পড়ছে কিনা”। এ ছাড়াও ডাচ শিশুদের গোপনতা ঠিক রাখতে টিকটক যথেষ্ট করছে কিনা তা-ও খতিয়ে দেখা হবে তদন্তে। এ বছরের শেষের দিকে তদন্তের প্রাথমিক ফলাফল চলে আসবে বলে উল্লেখ করেছে ডিপিএ।
যুক্তরাষ্ট্রেও খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই টিকটক। ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও, মার্কিন আইন ও গোপনতা সমর্থকদের চোখ রাঙানি অনেকদিন থেকেই সহ্য করতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটিকে। এরই মধ্যে মার্কিন সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী সরকারি ডিভাইসে অ্যাপটি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
এপ্রিলে লাইভ চ্যাট ও ভিডিও স্ট্রিমিং ফাংশন থেকে ১৬ বছরের কম বয়সীদের ছেঁটে ফেলেছে টিকটক এবং অ্যাপে নিয়ে এসেছে ‘প্যারেন্টাল কন্ট্রোল’ ফিচার।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী টিকটকের আনুমানিক ৫০ কোটি থেকে একশ’ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।