হুয়াওয়ের মতো চীনা প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের “অযৌক্তিক দমন” থামানো উচিত – শনিবার বলেছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
চীনের ওই বক্তব্য ছিলো আগের দিনই যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া নতুন সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া। শুক্রবার ট্রাম্প প্রশাসন বৈশ্বিক চিপ সরবরাহ গ্রহীতা হিসেবে হুয়াওয়ে টেকনোলজিসকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে।
নতুন ওই সিদ্ধান্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে হুয়াওয়ের কাছে যে কোনো সংখ্যায় সেমিকন্ডাক্টর রপ্তানীর ওপর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। মাইক্রোচিপ, আইসি বা প্রসেসর-এর মূল উপাদান সেমিকন্ডাক্টর এবং এক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অনেকগুলোর ভিত্তিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।
একদিকে চীনের দিক থেকে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার শঙ্কা অপরদিকে মাইক্রোচিপ দুনিয়ায় মার্কিন চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর এর বিরূপ প্রভাব, এই দুটি বড় চ্যালেঞ্জ থাকার পরও এই সিদ্ধান্তটি নিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র — প্রতিবেদনে বলেছে রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের কোনো জবাব দেওয়ার কথা ভাবছে কিনা বেইজিং, সে প্রসঙ্গে রয়টার্সের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। উত্তরে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো ‘নিজেদের আইনি অধিকার দৃঢ়ভাবে রক্ষা করবে’।
গত বছর মে মাসে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কালো তালিকাভুক্ত করার পর ৫জি’র মান নির্ধারণে হুয়াওয়ের সঙ্গে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিলো কিছু মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীরা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কালো তালিকায় হুয়াওয়ের নাম ওঠার পর প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ব্যবসায় সীমাবদ্ধতা আসে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর। হুয়াওয়ের সঙ্গে ব্যবসা করতে বিশেষ লাইসেন্স নেওয়ারও বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়।
এ মাসের শুরুতে খবর এসেছিল ৫জি নিয়ে নতুন করে হুয়াওয়ের সঙ্গে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজের সুযোগ করে দিতে খসড়া নীতিমালা স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।