শীঘ্রই পরিধেয় করোনাভাইরাস কনট্যাক্ট-ট্রেসিং ডিভাইস উন্মোচনের লক্ষ্য রয়েছে সিঙ্গাপুরের। ইতোমধ্যেই তিন লাখ ডিভাইস সরবরাহের সরকারি চুক্তি পেয়েছে দেশটির ইলেকট্রনিকস পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান পিসিআই।
কনট্যাক্ট-ট্রেসিং মোবাইল অ্যাপের মতোই করোনাভাইরাস আক্রান্ত কারও কাছাকাছি এলে ব্যবহারকারীকে সতর্ক করবে পরিধেয় ডিভাইসটি। তিন লাখ ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষা সফল হলে ৫৭ লাখ বাসিন্দার সবাইকে ডিভাইসটি সরবরাহ করবে সিঙ্গাপুর সরকার।
সিঙ্গাপুরের গভর্নমেন্ট টেকনোলজি এজেন্সি (গভটেক) পিসিআই-কে টেন্ডারের মাধ্যমে চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে ১৪ মে। ৬০ লাখ সিঙ্গাপুরিয়ান ডলার মূল্যের টেন্ডারের হিসাবে ব্লুটুথ-ভিত্তিক ‘ট্রেসটুগেদার টোকেনস’ নামের ডিভাইসটির প্রতিটির মূল দাঁড়ায় ২০ ডলার– খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
ইতোমধ্যেই স্মার্টফোনের জন্য কনট্যাক্ট-ট্রেসিং অ্যাপ উন্মোচন করেছে সিঙ্গাপুর। কিন্তু কিছু ডিভাইসে অ্যাপটি কার্যকর না হওয়ায় এটি বিস্তৃত পরিসরে ব্যবহার হচ্ছে না। এ কারণেই পরিধেয় কনট্যাক্ট-ট্রেসিং ডিভাইসের পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছে দেশটি।
রয়টার্সকে এক ইমেইল বার্তায় গভটেক বলেছে, “ট্রেসটুগেদার টোকেনস ডিভাইসের প্রাথমিক ব্যাচ বানাতে পিসিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে গভটেক।”
১৯৭২ সালে সিলিকন ভ্যালির সার্কিট বোর্ড প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করে পিসিআই প্রাইভেট লিমিটেড। গত বছর সাড়ে ২৬ কোটি সিঙ্গাপুরিয়ান ডলারে প্রতিষ্ঠানটি কিনে নিয়েছে মার্কিন প্রাইভেট ইকুইটি প্রতিষ্ঠান প্লাটিনাম ইকুইটি। টেন্ডারের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি প্রতিষ্ঠানটি।
সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৯ হাজার, আর মৃত্য হয়েছে ২৫ জনের।
প্রযুক্তির ব্যবহার করে নিরাপদে অর্থনীতি পুনরায় সচল করার লক্ষ্যে এগোনো দেশগুলোর একটিও সিঙ্গাপুর। কিন্তু এসব প্রযুক্তির গোপনতা বিষয়ে প্রায়ই প্রশ্ন উঠছে।
এর আগে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি মাসের শেষ দিকেই ডিভাইসটি গ্রাহকের কাছে সরবরাহ করা হবে। আর এক্ষেত্রে যাদের স্মার্টফোন নেই তারা প্রাধান্য পাবেন।