তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যসহ নাগরিক সেবাকে আরও স্বচ্ছ, দ্রুত ও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ( এআই) প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। দেশের সেবা, পরিবহন, শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ উন্নয়নে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের জন্য ইতোমধ্যে একটি গাইডলাইন ও টাইমফ্রেম প্রস্তুত করা হয়েছে।’
শনিবার (২০ জুন) চট্টগ্রাম সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত জুম প্ল্যাটফর্মে ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ বিষয়ক দুই দিনের প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সমাজকে সুনিপুণভাবে বদলে দিতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বজুড়েই এআই প্রয়োগের ঢেউ লেগেছে। বিভিন্ন শিল্প কারখানায় নিয়ন্ত্রিত প্রযুক্তির পাশাপাশি এআই ব্যবহার শুরু হয়েছে। এর আমাদের দেশেও এর প্রভাব আত্মপ্রকাশ করতে শুরু করেছে।’
বিদ্যমান প্রযুক্তিতে দেশের প্রযুক্তিপ্রাণ ৩৪ শতাংশ তরুণকে সফলভাবে এআই প্রয়োগের জন্য তৈরির মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যত উন্নয়নে বিপুল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘এআই এর যথাযথ প্রয়োগের জন্য আইসিটি বিভাগ ইতোমধ্যেই সুনির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্র নির্ধারণের মাধ্যমে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। টেকসই এআই ইকো সিস্টেম তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হযেছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে দারুণ প্রভাব ফেলবে এই এআই প্রযুক্তি।’
চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন। চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মালয়েশিয়ার মাল্টিমিডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্রের মালটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধানরা এবং দেশি-বিদেশি প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা সম্মেলনে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।