জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের জন্য ৯০টিরও বেশি বড় সংস্থা এই মাধ্যমে বিজ্ঞাপন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার ফলে ফেসবুকের প্রায় ৫৬০ কোটি ডলারের বিশাল পরিমাণ অর্থের বাজার মূল্য কমছে। আর এর ফলে ফেসবুকের সিইও মার্ক জুকারবার্ক প্রায় ৭২০ কোটি ডলার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে।
ইউনিলিভার জানিয়েছে, তারা ফেসবুকে আর কোনো অর্থ ব্যয় করবে না। এ সিদ্ধান্তের পর গত শুক্রবার ফেসবুকের শেয়ার ৮ শতাংশের বেশি পড়ে যায়। একই সাথে টুইটারের স্টকও সাত শতাংশ কমেছে।
এদিকে ইউরোপীয় সংস্থা বেন অ্যান্ড জেরির, লিপটন চা ও ডাভ এই বছরের শেষের দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নতুন বিজ্ঞাপন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। ইউরোপীয় সংস্থা জানিয়েছে, অনলাইনে ঘৃণ্য ও বাজে মন্তব্যের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার প্রতিবাদে তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে। তাদের মতে- ফেসবুক গুজব ও ঘৃণ্যবার্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে।
এরপর কোকা-কোলা কমপক্ষে ৩০ দিনের জন্য ফেসবুকে বিজ্ঞাপন বয়কটে যোগদানের ঘোষণা দেয়। কোকা-কোলা কোম্পানির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী জেমস কুইন্সি একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলেছেন,‘বিশ্বে বর্ণবাদের কোনো স্থান নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায়ও বর্ণবাদের কোনো স্থান নেই।’
তিনি আরো বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলোকে ‘জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা’ প্রদান করা প্রয়োজন।
আমেরিকান হন্ডা বলেছে, ঘৃণ্য বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে জুলাই মাস থেকে ফেসবুকে তাদের বিজ্ঞাপনগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে।
এদিকে বয়কট ও পরবর্তী সময়ে শেয়ার বাজারে লোকসানের পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই বিশাল সংস্থাটি তাদের ফিল্টারিং নীতিতে কিছু পরিবর্তন ঘোষণা করতে বাধ্য হয়। গত শুক্রবার ফেসবুক বলেছে, বিজ্ঞাপনগুলোতে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য সরিয়ে নেয়া হবে। আরো বলা হয়, আমরা অভিবাসী, শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীদের নিয়ে করা ঘৃণ্য বিজ্ঞাপনগুলো থেকে সুরক্ষার জন্য আমাদের নীতিগুলো আরো সম্প্রসারিত করছি।