অ্যাপলের আইফোনে ফ্যাক্টরি কোথায়? অনেকেই বলবেন, অ্যাপল আমেরিকান ব্র্যান্ড। তাই তাদের ফোনের কারখানাও সেখানে।
কিন্তু না, অ্যাপলের আইফোনের বড় একটা অংশ তৈরি হয় চীনে। সেখানে রয়েছে আইফোনের ভেন্ডর। যারা আইফোন চীন থেকে বানিয়ে আমেরিকায় অ্যাপলের কাছে দিয়ে আসে। এতো গেলো আইফোনের কথা। মার্কিন ডেলের কারখানাও কিন্তু চীনে। নকিয়া, স্যামসাং কিংবা এলজি। উৎপাদনকারী দেশ ভিন্ন হলেও এগুলো তৈরি হয় চীনে। তাই বলা যায় চাইনিজ ফোনের বিকল্প কেবল চাইজিন ফোনই।
বিশ্বের অধিকাংশ স্মার্টফোনই চীনা কোম্পানির তৈরি। বিশ্বের ফোনের বাজারের অর্ধেকেরও বেশি দখলে চীনাদের। শাওমি, ভিভো, অপো, রিয়েলমি–এর মতো চীনা কোম্পানির দখল বিশ্ব জুড়ে।
কম দামে চাইনিজ স্মার্টফোন যা সুবিধে দেয়, অন্য কোম্পানি তা দিতে পারে না। ফলত বাজারে মোবাইল কিনতে গেলে ক্রেতার প্রথম পছন্দ চাইনিজ স্মার্টফোন। চীনা কোম্পানির ফোনকে একমাত্র টেক্কা দিতে পারে স্যামসাং। কিন্তু ইদানিং দক্ষিণ কোরিয়ার এই কোম্পানির ফোনের দাম শাওমি বা ভিভোর তুলনায় বেশি। অথচ দুই কোম্পানির ফোনের বিশেষত্ত্বে খুব বেশি ফারাক থাকে না, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
আইডিসি ইন্ডিয়ার রিসার্চ ডিরেক্টর, নভকেন্দর সিং বলেন, ‘একজন ক্রেতার সমস্ত চাহিদা পূরণ করে চাইনিজ স্মার্টফোন।’
বাংলাদেশে সিম্ফনি, ওয়ালটনের মতো বড় বড় কোম্পানি স্মার্টফোন তৈরি করলেও চীনের কোম্পানি গুলোর সঙ্গে এখনো পেরে উঠছে না। যদিও দেশি কোম্পানিগুলো আশাবাদী।