স্বামী বা স্ত্রী একে অপরের ওপর সন্দেহ করে মোবাইলে গোপন নজরদারির চেষ্টা করে থাকেন। এই ধরনের কিছু অ্যাপের বিজ্ঞাপনও দেখা যায়। সেখানে দেখানো হয় স্ত্রী বা স্বামীর ফোনে নজরদারি চালানো যায়। তাদের গতিবিধি নজরে রাখা যায়। এবার এই সব বিজ্ঞাপনের ইতি টানছে গুগল।
গুগল তাদের নয়া পলিসি আপডেটে জানিয়ে দিয়েছে, এমন কোনো প্রডাক্ট বা পরিষেবার বিজ্ঞাপন তারা দেবে না, যার সাহায্যে কোনও ব্যবহারকারীকে না জানিয়ে তার উপর নজরদারি চালানো হয়। সঙ্গী বা সঙ্গিনীর স্মার্টফোনে আড়িপাতা যায়, এমন কোনো প্রযুক্তির বিজ্ঞাপন তারা আর দেবে না। এই নতুন নিয়ম জিপিএস ট্র্যাকারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
সংস্থা জানিয়েছে, বেসরকারি গোয়েন্দা পরিষেবা বা প্রযুক্তি যা অনেক সময় মা-বাবারা তাদের অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের ওপর নজর রাখতে ব্যবহার করেন, সেই সব বিজ্ঞাপন বন্ধ করা হচ্ছে না।
গুগলের এই নয়া পলিসি ১১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। ২০১৮ সালে ‘ইকোসিস্টেম অফ ইন্টিমেট পার্টনার সার্ভেইল্যান্স স্পাইওয়্যার’ নামে একটি সমীক্ষায় জানা যায়, স্ত্রীর ফোন ট্র্যাক করা বা স্বামীর ফোনে নজরদারি চালানোর মতো কয়েক হাজার গুগল অ্যাড আসলে খারাপ উদ্দেশ্যে ফোনে নজরদারি চালানোর জন্য তৈরি হয়। এই সংস্থাগুলোর উদ্দেশ্য থাকে ব্যবহারকারীর ফোনের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করা।
সংস্থার এক মুখপাত্র জানান, ব্যবহারকারীর তথ্য সুরক্ষিত ও গোপন রাখা গুগলের বরাবরের নীতি। নতুন সার্চ ওয়ার্ড পরীক্ষা করে পলিসি ফের পরিবর্তন করা হবে।