ম্যালওয়্যার যে কত রকম উপায়ে ফোনে প্রবেশ করে তা আমরা জানতেও পারিনা। যেমন ধরুন, আমরা হাতের যে ফোনটি প্রচুর ব্যবহার করি, সেটির ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি বেশি পছন্দ করি। কিন্তু এই ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তিতেও ম্যালওয়্যারের প্রকোপ পড়তে পারে। কিভাবে? চলুন জেনে নিই।
সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে, ব্যাডপাওয়ার নামে একটি ম্যালওয়্যার কিছু ফাস্ট চার্জারের ফার্মওয়্যারটিকে মডিফাই করতে পারে। এটি চার্জার করাপ্ট করে এবং চিপের ফার্মওয়্যারটিকে থামিয়ে দেয়। এমনকি এটি ডিভাইসের চার্জিংয়ের জন্য সেট করা নির্দিষ্ট ভোল্টেজের ওভারলোড ঘটাতে পারে। ফলে ডিভাইসের কম্পোনেন্ট গলতে শুরু করে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ডিভাইসে আগুন ধরে যেতে পারে।
ফাস্ট চার্জিং প্রোটোকলে পাওয়ার ট্রান্সমিশন ছাড়াও ডেটা ট্রান্সমিশন অপশন অন্তর্ভুক্ত থাকে। অনেক ফাস্ট চার্জিং ডিভাইসের ডেটা চ্যানেলে অন্তর্নির্মিত ফার্মওয়্যারটি রিড এন্ড রাইটে সক্ষম, হ্যাকাররা চাইলে এই ফার্মওয়্যারটি নিজের ইচ্ছেমত পরিবর্তন করতে পারে। ফলে সেখান থেকে ব্যাডপাওয়ারের মত ম্যালওয়্যার প্রবেশ করতে পারে। ব্যাডপাওয়ার, অন্যান্য ম্যালওয়্যারের মত ইউজারের ডেটা চুরি না করলেও, ডিভাইসটি ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে।
রিসার্চারদের অভিমত, ব্যাডপাওয়ারের মত মালিসিয়াস প্রোগ্রামগুলির সাহায্যে ফোন বা ল্যাপটপ চার্জারের ফার্মওয়্যারকে বদলানো যেতে পারে।তারা ৩৫টি চার্জার পরীক্ষা করেছেন, যার মধ্যে প্রায় ১৮টি চার্জারে ব্যাডপাওয়ার আক্রমণের ঝুঁকি ছিল। তারা ডিভাইস প্রস্তুতকারীদের পরামর্শ দিয়েছেন, ডিভাইসে অতিরিক্ত ফিউজ যুক্ত করা উচিত যা ব্যাডপাওয়ার জাতীয় ঝুঁকি প্রতিরোধ করে এবং লো ভোল্টেজে ফাস্ট চার্জিং সমর্থন করতে পারে। পাশাপাশি তারা ইউজারদের ফোন চার্জার এবং পাওয়ার ব্যাংক অন্যের সাথে শেয়ার করতে বারণ করেছেন।