এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে কাজের ক্ষেত্রে দক্ষতাবিষয়ক চলমান প্রবণতা এবং তরুণদের দক্ষতা বিকাশের কৌশল বিষয়ে ‘এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি ট্যালেন্ট ফোরাম-২০২০’ আয়োজন করেছে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস লিমিটেড। ‘কানেকশন, গ্লোরি, ফিউচার’ প্রতিপাদ্যে অনলাইনে আয়োজিত এ ফোরামে দুই হাজারের বেশি অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন। ফোরামে আইসিটি খাতে দক্ষ কর্মীদের শূন্যতা পূরণে নিজেদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রকাশ করে হুয়াওয়ে। পাশাপাশি এ অঞ্চলে টেকসই ডিজিটাল রূপান্তরের পথ সুগম করতে সমন্বিত আইসিটি ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে হুয়াওয়ের সার্টিফিকেশন প্রোগ্রামের ঘোষণা দেয়া হয় এবং আগামী পাঁচ বছরে ২০ লাখ আইসিটি পেশাদার তৈরির প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
আইসিটি খাতে দক্ষ কর্মীদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা নিয়ে ফোরামে আলোচনা করেন উপস্থিত নানা খাত বিশেষজ্ঞ এবং যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক অধ্যাপকরা। যেখানে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে দক্ষ কর্মীর স্বল্পতাবিষয়ক সমস্যা সমাধানে কার্যকরী পরিকল্পনা প্রস্তাব করা হয়। যেসব শিক্ষার্থী ও আইসিটি প্র্যাকটিশনাররা হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি একাডেমিতে যোগ দিয়েছেন কিংবা যোগদানের পরিকল্পনা করছেন তাদের জন্য এ প্রোগ্রাম উন্মুক্ত। ৪ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে এ প্রোগ্রাম চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। যেসব অংশগ্রহণকারী সবচেয়ে কম সময়ে উত্তীর্ণ হবেন, আগে তাদের পুরস্কৃত করা হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে নানা ক্ষেত্রে বিস্তৃত পরিসরে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি প্রত্যক্ষ করছে বিশ্ব। উন্নত আইসিটি ইকোসিস্টেম নির্মাণ নিয়ে বক্তব্যে হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিকের চিফ ডিজিটাল অফিসার ও এক্সিকিউটিভ কনসালট্যান্ট মাইকেল ম্যাকডোনাল্ড বলেন, এখন ক্লাউড কম্পিউটিং, বিগ ডাটা, ইন্টারনেট অব থিংস ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নতুন আইসিটি খাতের মূলভিত্তি হিসেবে উল্লেখ্য।
অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি চলে আসার ফলে কাজের ক্ষেত্রে আইসিটিবিষয়ক সাধারণ দক্ষতা আর যথেষ্ট নয়। মাইকেল ম্যাকডোনাল্ড ঘোষণা দেন, যেহেতু প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মপ্রয়োজনীয়তা পুনর্বিন্যাস করছে, সেক্ষেত্রে নতুন আইসিটি ল্যান্ডস্কেপ আনুমানিক ৫০ লাখ পেশাদারের স্বল্পতা তৈরি করবে। দক্ষ কর্মীর উচ্চ চাহিদা পূরণে আমাদের লক্ষ্য আগামী পাঁচ বছরে ২০ লাখ আইসিটি পেশাদার তৈরি করা। এ বছর আমরা ২০০-এর বেশি হুয়াওয়ে একাডেমি তৈরি করব এবং এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে ১০ হাজার সার্টিফিকেশন পরিচালনা করব। আইসিটি ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম হুয়াওয়ের দীর্ঘমেয়াদি কৌশল এবং শিক্ষার্থী ও আইসিটি প্র্যাকটিশনাররা যাতে তাদের ক্যারিয়ারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে যেতে পারেন, এক্ষেত্রে তাদের সহায়তায় আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও স্থানীয় এইচএএলপি পার্টনারদের সঙ্গে কাজ করব।
এআই ও ফাইভজির মতো প্রযুক্তি বিশ্বজুড়ে বিস্তৃৃত হয়েছে। এ ডিজিটাল যুগে সম্ভাবনার সঙ্গে দক্ষ কর্মীদের যুক্ত করতে নির্দিষ্ট মানদণ্ড তৈরিতে এ অঞ্চলে সমন্বিতভাবে বিভিন্ন খাতের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেদের মেধা বিকাশ কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হুয়াওয়ে আইসিটি খাতে যোগ্য কর্মীদের নিয়ে আসতে একটি ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম তৈরি করেছে।