“চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এর যুগে ডিজিটাল বাংলাদেশ” শীর্ষক ওয়েবিনারে দেশ ও দেশের বাহিরের তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, শিক্ষাবিদ, অধ্যাপক ও তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের আলোচনায় আগামীর বাংলাদেশ কিভাবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এবং তথ্য-প্রযুক্তির দিক দিয়ে বিশ্বের মধ্যে অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখবে সেই বিষয়ে মতামত প্রকাশ করেন।
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ এবং কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ এর সম্মানিত ডীন এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এটিএম মাহবুবুর রহমান এর সভাপতিত্বে এবং সহকারী অধ্যাপক সম্রাট কুমার দে, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ এর সঞ্চালনায় ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়।
ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের সম্মানিত চেয়ারম্যান ও মাননীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন বর্তমান সরকার তথ্য প্রযুক্তিতে ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহিত করছেন। এছাড়াও গবেষণামুলক শিক্ষাব্যবস্থা চালুর জন্য প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানে সরকারের সাহায্য চান, যেন চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এর যুগে বাংলাদেশ ভোক্তা না হয়ে উদ্ভাবকের ভূমিকায় থাকতে পারে।
ওয়েবিনারের প্রধান অতিথি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার শুরুতেই বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন তথা ডিজিটাল বাংলাদেশের সূচনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরন করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর প্রথম দেশ যারা নিজেদের সাথে ডিজিটাল শব্দটি যুক্ত করে।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও এর পরবর্তী সময়ে উদ্ভাবনী মুলক জনবল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন উল্ল্যেখ করে তিনি বাংলাদেশের জনসম্পদকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত করার জন্য সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণামুলক শিক্ষায় জোর দেওয়া এবং প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করার উপর গুরুত্ব দেন।
মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপক বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এর সমসাময়িক উদাহরণ, বর্তমান সময়ের উপর এর প্রভাব, সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ এবং তা মোকাবেলার আমাদের করনীয় বিষয়ে বিভিন্ন পয়েন্ট তুলে ধরেন এবং এর পাশাপাশি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা এবং এর ইতিবাচক প্রভাব নিয়েও আলোচনা করেন। এছাড়াও মূল প্রবন্ধের উপরে আলোচনার জন্য আলোচক হিসেবে যুক্ত ছিলেন অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস, ইউএসএ এর লিডার এবং ক্লাউডক্যাম্প বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ মাহদী উজ জামান। আলোচনার জন্য আরো সংযুক্ত ছিলেন স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং, ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিটিশ কলম্বিয়া, কানাডার ভিজিটিং সহকারী অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এ মান্নান বলেন চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নতুন উদ্ভাবনী বিষয়ে তাত্পর্যপূর্ণভাবে ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেন এই পরিবর্তনকে মানিয়ে নিতে শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনে গবেষনামুখী করার মাধ্যমেই টেকসই ডিজিটাল বাংলাদেশ নিশ্চিত করা সম্ভব। এছাড়াও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন যুগোপযোগী শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতকরণ ও বেশী বেশী গবেষণামুলক শিক্ষা ব্যবস্থা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।
ওয়েবিনারে আরো সংযুক্ত ছিলেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কে এম মহসীন এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান ড. এস কাদির পাটোয়ারী।
ওয়েবনারটি জুম, ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার হওয়ায় দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে সহস্রাধিক তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রী সংযুক্ত হতে পেরেছেন। এছাড়াও ওরেবিনারটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয় ডিজি বাংলা টেলিভিশন, ডি আই ইউ অফিসিয়াল ফেসবুক এবং ইউটিউব চ্যানেলে।