বর্তমান বিশ্বে সূর্যের আলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বর্তমানে বেশ দারুন এক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। সোলার সেল বা বাংলায় সৌরকোষ দিয়ে এই কাজ করা হয়। তবে এই এটি সম্পর্কে একটা জিনিস না জানলেই নয়। আর এটা হলো যে সোলার সেল শুধু সূর্যের আলোর উপস্থিতিতেই কাজ করে অর্থাৎ সূর্যের আলো না থাকলে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে না।এই সমস্যার সমাধানে দিনের বেলায় যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে তার কিছু পরিমাণ একটা ব্যাটারিতে সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে সূর্যের আলো না থাকা সত্ত্বেও বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়। আর এই জিনিসটা আমরা অনেকেই জানি না যে ১ বর্গ কিলোমিটার ক্ষেত্রফল জুরে সোলার সেল লাগানো হলে সেটি ১টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের সমপরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারবে।
তাহলে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে বাংলাদেশে তাহলে কেন এত টাকা খরচ করে এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বানানো হোচ্ছে?এই প্রশ্নের উত্তর আগেই বলে দিয়েছি তাও বলছি কারণ সোলার সেল শুধু সূর্যের আলো থাকলেই কাজ করতে পারে। আর বাংলাদেশে কিন্তু কোন জায়গাতেই প্রতিদিন রোদ লাগার নিশ্চয়তা দেওয়া বেশ কঠিন। কারণ এই রোদ তো এই বৃষ্টি আর শীত তো থাকলই।
সুতরাং আমাদের এমন একটা জায়গায় এই সোলার ফার্ম বানাতে হবে যেখানে প্রচুর অব্যহৃত জমি আছে আর সেখানে প্রতিদিন রোদ ওঠার নিশ্চয়তা দেওয়া যায়। মাথায় কি মরুভূমির ছবি ভাসছে?হ্যাঁ, এমন জায়গা হিসেবে মরুভূমি সবথেকে ভাল। আর মরুভূমিগুলোর মধ্যে সাহারা এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে উত্তম। কারণ সেখানে দৈনিক রোদের নিশ্চয়তা দেওয়া যায় আর সেখানে প্রচুর পরিমাণে অব্যবহৃত জমি আছে। আর আরেকটা বিশ্বয়কর ব্যাপার হলো, সাহারার মাত্র ১.২% সোলার সেল দিয়ে ঢিকে দেই তাহলেই সেটি পুরো পৃথিবীর জন্য বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনে সক্ষম হবে। তবে যদি আমরা সাহারার এই পরিমাণ জমিকে সোলার সেল দিয়ে ঢিকে দেই তাহলে সেখানকার পরিবেশ অনেকটাই পালটে যাবে।
যদি আমরা মরুভুমিকে সোলার সেল দিয়ে ঢিকে দেই তাহলে সেখানকার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা ২ গুণ বেড়ে যাবে আর গাছপালার পরিমাণ ২০% বেড়ে যাবে। তাহলে এই সোলার সেল শুধু আমাদের যথেষ্ঠ বিদ্যুৎ শক্তিই দিবে না বরং তার সাথে সাথে আমাদের বায়ুমন্ডলে অক্সিজেন আর কার্বন ডাই-অক্সাইডের সমতা তৈরিতেও বেশ কাজে দেবে। তাহলে এটা এখনো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না কেন? আসলে এটি বলা যত সহজ তার চাইতে করে দেখানো আরও অনেকটাই জটিল। যেমন যদি এটি দিয়ে পৃথিবীর প্রয়োজনীয় পরিমাণের বিদ্যুৎ তৈরি করাও হয় তাহলে এটি সারা বিশ্বের কাছে কিভাবে পাঠাবেন? সবচেয়ে ভাল হবে যদি এই শক্তিটি আগে ইউরোপ আর সেখান থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পরে। আর এই বিদ্যুতের রপ্তানি আফ্রিকার আর্থিক অবস্থার অনেকটাই উন্নত করে ফেলবে। তবে তাদের কি এটি করার কোন উপায় থাকবে?আফ্রিকার ইলেক্ট্রিক গ্রিড আপাতত তেমন একটা ভরসার যগ্য নয় আর তাদের প্রায় ৮০০-৩০০০ কিলোমিটার লম্বা তারের প্রোয়জন হবে।দীর্ঘ দুরত্ব ধরে বিদ্যুৎ পরিবহন করলে বিদ্যুতের ১০% পর্যন্ত শক্তির অপচয় হবে।তারমানে, এমনিতেই একটি ব্যায়বহুল প্রকল্প তার উপর আরও খরচ বেড়ে যাবে।আর এত টাকাই বা আসবে কোথা থেকে?আফ্রিকাতে বেশ কয়েকটি আস্থির সরকার আছে যারা এমন বড় বড় প্রকল্পের বিনিয়োগকারীদের বিরদ্ধে লাল পতাকা উত্তোলন করে।সর্বোপরি এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প হবে যার মানে এর অনেক চলমান অংশ থাকবে।
বেশ কয়েকটি দেশকে এই প্রকল্পে জড়িত থাকতে হবে।আর বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনের ফলে এই প্রকল্প বাধা প্রাপ্ত হতে পারে।এমনকি সম্পূর্ণরূপে থেমেও যেতে পারে।তাই এই বড় প্রকল্প শুরু করার আগে ছোট পরিসর যেমন আফ্রিকার বিভিন্ন গ্রামে করা