বিশ্বের জনপ্রিয়তম স্মার্টফোন ও স্মার্ট ডিভাইসের অপারেটিং সিস্টেম অ্যানড্রয়েডের নতুন সংস্করণ- ‘অ্যানড্রয়েড ১১’ নীরবেই এসেছে। এতে প্রয়োজনীয় ফিচার খুব কম থাকায় বেশি লাভ হয়নি ব্যবহারকারীদের। তবে, ডেভেলপার ও ফোন নির্মাতা কোম্পানিগুলোর চাহিদাই গুরুত্ব পেয়েছে গুগলের কাছে।
আপগ্রেড প্রক্রিয়া যথেষ্ট ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় নতুন ওএস কতোগুলো ডিভাইসে চলছে সে তথ্য দেয়া বন্ধ করেছে গুগল।
অ্যানড্রয়েডের সব ডিভাইসে আপডেট একেবারে হয় না। এ কারণে অ্যানড্রয়েড ভক্তদের আগ্রহ স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়। একেক ব্র্যান্ডের একেক মডেলের আপডেট পাওয়া যায়; তাতেও সময় লাগে কয়েকমাস। কারণ ওএসের সঙ্গে খাপ খাবে এমন চিপ বানাতে হয় নির্মাতাদের। এরপর ফোন কোম্পানিগুলো ওএসটি মোডিফাই করে।
সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, প্রয়োজনীয় ফিচারের আনার বদলে ডেভেলপারদের জন্য নতুন এপিআই তৈরি ও ফোন নির্মাতা কোম্পানিগুলোর জন্য নতুন বিল্ডিং ব্লক তৈরি করাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে গুগল। স্বাভাবিকভাবেই এর উপর ব্যবহারকারীদের যে সব ফিচার কাজে লাগবে সেগুলো দেওয়াও বন্ধ করেছে গুগল।
যেমন অ্যানড্রয়েড ১১ এর বাবলস ফিচারটি তৈরি করা হয়েছে ডেভেলপারদের কথা ভেবে। তারা যেন স্ক্রিন ওভারলে ব্যবহার করা বন্ধ রাখেন তা নিশ্চিতেই ফিচারটি রাখা হয়েছে। ব্যবহারকারীদের কাজে লাগবে কি-না সে কথা ভেবে আনা হয়নি।
নতুন ওএস আপডেটে যা থাকা তা অনেক সময় স্যামসাং ও এলজির ডিভাইসে আগেই পাওয়া যায়। গুগল, ক্রোম, ফটোস ও জিমেইল অ্যাপের বিভিন্ন ফিচারও অ্যাপ আপডেট করেই পাওয়া যায়। ফুল সিস্টেম আপগ্রেডের প্রয়োজন হয় না।