এলিয়েন কী তা আমরা সবাই কম বেশি জানি।আর আমরা অনেকেই মনে করি যে এলিয়েন বাস্তবে থাকতেও পারে আবার নাও পারে।কিন্তু দিন যতই যাচ্ছে বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস ততি এই ব্যাপারে মজবুত হচ্ছে।এর কারণ কী হতে পারে?চলুন জেনে নেই এলিয়েনের অস্তিত্বের ব্যাপারে বেশ কিছু তথ্য।
এলিয়েনদের প্রথমে বিভিন্ন সাইন্স ফিকশান মুভিতে দেখা যায়।আর সাইন্স ফিকশান মুভিতে শুধু এলিয়েন নয় অনেক কিছুই দেখানো হয়েছিল যেগুলো ক্রমান্ময়ে সত্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তাই বলে এমনটা বলা বেশ বোকামোর হতে পারে যে সাইন্স ফিকশানের অনেক জিনিস এখন সম্ভব বলে বিজ্ঞানীরা ভাবছেন যে এই কারণে হয়ত এলিয়েন থাকতে পারে। কিন্তু আসলে বিজ্ঞানীরা টেলিস্কোপ দিয়ে যা যা দেখছেন তা দেখে অনেকেরই এমন মনে হওয়া শুরু হয়েছে যে আসলে এলিয়েন হয়ত আছে।
গত বছর বিজ্ঞানীরা একটি ঘোষণা দেন যে পৃথিবী থেকে ১২৪ আলোকবর্ষ দূরে এমন এক গ্রহ পাওয়া গেছে যেখানে পৃথিবীর মত পানি বিদ্যমান আছে। আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে আলোকবর্ষ কী জিনিস? আসলে আলো সেকেন্ডে প্রায় ৩ লাখ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে আর আলো এক বছরে যে পরিমাণ দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে এক আলোক বর্ষ বলে। আর এই গ্রহটি পৃথিবী থেকে ১২৪ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত আর সেই গ্রহের নাম হলো ‘কে২-১৮বি’। তাহলে আপনার হয়ত মনে হতে পারে যে যেহেতু পানি আছে তাহলে জীবন থাকার সম্ভাবনাও প্রচুর। আসলে এই ব্যাপারে তেমন কোন কিছু জানানো হয় নি।
তবে ২০৩০ সালে হাবল টেলিস্কোপের চাইতেও আরও উন্নত মানের টেলিস্কোপ মহাকাশে পাঠিয়ে আরও বিস্তারিত জানা যাবে। এই কথাটি শুনে এলিয়েনের অস্তিত্বর ব্যাপারটা কেমন যেন একটু হালকা হয়ে গেল। কিন্তু এরই আরেকটা মজার ব্যাপার আছে যা জানলে তাদের অস্তিত্বের বিশ্বাসটা আরও শক্তপোক্ত হবে। আমরা তখনই কোন বস্তু দেখতে পাই যখন সেই বস্তু থেকে আলো প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে পরে। আর আলো আমাদের চোখে পরতে যে পরিমাণ সময় নেয় আমরা সেই ঘটনা ঘটার সেই পরিমাণ সময় পরে জানতে পারি। তাই আমরা এখন গ্রহটির যেই অবস্থান দেখছি সেটি তার ১২৪ বছর আগের অবস্থান যেখানে জীবন নেই। আর যেহেতু সেখানে জীবনের জন্য যথেষ্ঠ পানি আছে তাহলে ধারণা করা যেতে পারে যে সেখানে এই সময়ে জীবন আছে কিন্তু সেটা আমরা প্রায় ১২৪ বছর পরে দেখতে পাব।