বিশ্বের বৃহৎ চুক্তিভিত্তিক চিপ নির্মাতা তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি (টিএসএমসি) লিমিটেড। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) তাইওয়ানভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির চিপ বিক্রি বেড়েছে ২২ শতাংশ, যা প্রত্যাশা ছাড়িয়েছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে টিএসএমসির রাজস্ব ৩৫ হাজার ৬৪০ কোটি তাইওয়ানিজ ডলারে (১ হাজার ২৪০ কোটি ডলার) পৌঁছেছে, যা গত বছরের একই প্রান্তিকের ২৯ হাজার ৩০০ কোটি তাইওয়ানিজ ডলারের চেয়ে বেশি। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ইউনাইটেড মাইক্রোইলেকট্রনিকস করপোরেশন ও মিডিয়াটেক ইনকরপোরেশনের রাজস্ব বেড়েছে। তবে রাজস্ব প্রবৃদ্ধিতে শীর্ষে রয়েছে টিএসএমসি।
টিএসএমসি সম্ভাব্য রাজস্ব প্রবৃদ্ধির বিষয়ে গত জুলাইয়েই পূর্বাভাস দিয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে চলতি বছরের জন্য ২০ শতাংশ রাজস্ব প্রবৃদ্ধির আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। টিএসএমসির গত নয় মাসের আর্থিক ফলাফল থেকে স্পষ্ট যে মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাপলের প্রধান চিপ নির্মাতা কভিড-১৯ মহামারীর মধ্যেও রাজস্ব প্রবৃদ্ধির ট্র্যাকে রয়েছে। ভয়াবহ বৈশ্বিক মহামারীর মধ্যে বাসায় কম্পিউটিং ডিভাইসের চাহিদা বেড়েছে। বিভিন্ন ক্যাটাগরির কম্পিউটিং ডিভাইস নির্মাতারা ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে কাজ করছে। এর ফলে চিপের চাহিদা বেড়েছে, যা টিএসএমসির চিপ বিক্রি প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্ব ভূমিকা রাখছে।
প্রতি বছর অ্যাপলের নতুন আইফোন বাজারে আসার আগে এবং ছুটির মৌসুমে টিএসএমসির চিপ বিক্রিতে উল্লম্ফন দেখা যায়। এবারো তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সম্প্রতি মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে চিপ নির্মাতাদের হুয়াওয়ের কাছে চিপ বিক্রিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যে কারণে হুয়াওয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে ক্রয়াদেশ পাওয়া চিপ দ্রুত সময়ের মধ্যে সরবরাহ করেছে টিএসএমসি, যা তৃতীয় প্রান্তিকের বিক্রি প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। টিএসএমসির অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী চিপ নির্মাতা স্যামসাং গত বৃহস্পতিবার জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের আর্থিক খতিয়ান প্রকাশ করেছে। রাজস্ব আয়ে প্রতিষ্ঠানটি বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস অতিক্রম করেছে। হুয়াওয়ের ওপর মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের নিষেধাজ্ঞার পরিসর বাড়ানোয় লাভবান হয়েছে স্যামসাংয়ের মোবাইল ডিভাইস এবং চিপ ব্যবসা বিভাগ।