কম্পিউটার ব্যবহার করবে অথচ কখনো সেটি বিগড়ে যায় নি বা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করেনি এমন অভিজ্ঞতার মানুষ পৃথিবীতে বিরল। কিছু কিছু সমস্যা খুবই সাধারণ আবার কিছু কিছু সমস্যা জটিল। সাধারণ সমস্যাগুলো অনেকসময় ব্যবহারকারীরা ঠিক করে খেলতে পারে। জটিল সমস্যার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ কারো মাধ্যমে ঠিক করাতে হয়। আবার শুটিং হতে সমস্যা ও উচ্চতা উৎপত্তিস্থল নির্ণয় প্রক্রিয়া। সাধারণত কিছু প্রশ্ন করতে পার করা হয় এবং পাশাপাশি সমাধান দেওয়া থাকে। ব্যবহারকারী তার সমস্যার প্রকৃতি অনুযায়ী সমাধান অনুসরণের মাধ্যমে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান করতে পারে।
মলুত ট্রাবলশুটিং হচ্ছে এমন কিছু রোজা রেখে নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থেকে করতে হয়। অন্য যে কোন ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রের তুলনা কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ রিং একটু বেশি প্রয়োজন হয়। এর একটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে এ যন্ত্রগুলো আমরা অনেক বেশি সময় ধরে ব্যবহার করে। তাই কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের অবশ্য ট্রাবলশুটিং সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। সাধারণত হাট সম্পর্কিত সমস্যা কিরে ট্রাবলশুটিং কথাটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। নিচে কিছু ট্রাবলশুটিং নিয়ে আলোচনা করা হলো।
১.যদি কখনো কম্পিউটার অন করার সিস্টেম চালু না হয় তাহলে প্রথমে মেইন পাওয়ার কেবল টির সংযোগ দিল কিনা দেখতে হবে। মেইনবোর্ডে পাওয়ার আছে কিনা দেখতে হবে। মেইনবোর্ডের যদি পান না থাকে তাহলে পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট পরিবর্তন করতে হবে। স্থানীয় কোন সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে অভিজ্ঞ কাউকে দেখাতে হবে।
২.সিস্টেম সঠিকভাবে চলছে কিন্তু মনিটরে দেখা যাচ্ছে না। এর জন্য যা করতে পারে তা হল সিস্টেম কি বন্ধ করতে হবে এবং মেন সিস্টেম থেকে পাওয়ার কেবল টি খুলে ফেলতে হবে.মেমোরি স্লট থেকে সকল র্যাম সরিয়ে ফেলতে হবে। একটি ইরেজার দিয়ে র্যামের কানেক্টর গুলোকে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। শক্ত ব্রাশ দিয়ে সবগুলো র্যাম স্লট পরিষ্কার করতে হবে। রাম ইন্সটল না করে কম্পিউটার চালু করা এবং কোন বিপ সাউন্ড হয় কিনা খেয়াল করতে হবে। যদি বিপ সাউন্ড হয় তবে বুঝতে হবে র্যামটি সমস্যাযুক্ত।এবারও ডিসপ্লে না আসলে নতুনগ্রাম লাগাতে হবে। প্রেমকে প্রতিস্থাপন করে আবার চেক করতে হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডিসপ্লে না হওয়ার কারণ র্যাম এর সমস্যা।
৩.আউট অফ মেমোরি অর নট এনাফ মেমোরি মেসেজ দেখায়। সাধারণত কম্পিউটারের অতিরিক্ত প্রোগ্রাম ইনস্টল করতে গিয়ে কিংবা একাধিক প্রোগ্রাম একসাথে ওপেন করে কাজ করতে গেলে এই ধরনের মেসেজ প্রদর্শিত হয়। কম্পিউটারে অতিরিক্ত প্রোগ্রাম ইনস্টল করার মতো পর্যাপ্ত মেমোরি না থাকলে এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এ সমস্যা দূর করার জন্য মাদারবোর্ড অধিক র্যাম ব্যবহার করতে হবে।
৪.মনিটরে কোন পাওয়ার নেই এক্ষেত্রে পাওয়ার বোতাম চালু আছে কিনা দেখতে হবে। এসি পাওয়ার কর্টটি মনিটরে পেছনে এবং পাওয়ার আউটলেটে ভালোভাবে সংযুক্ত আছে কিনা নিশ্চিত হতে হবে।
৫.কিবোর্ড কাজ করছে না। এ ক্ষেত্রে কম্পিউটার টি বন্ধ করে কিবোর্ডের পোর্টের সাথে যৌথভাবে সংযোগ আছে কিনা সে বিষয়টি লক্ষ্য করতে হবে। পোর্ট পরিবর্তন করে দেখতে হবে। এন্টিভাইরাসের ভাইরাস ক্লিন করতে হবে। এরপর যদি কিবোর্ড কাজ না করে তাহলে নতুন কিবোর্ড লাগিয়ে নিতে হবে।