এন্টারপ্রাইজভিত্তিক সফটওয়্যার তৈরি খাতের শীর্ষস্থানীয় উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠান ভিএমওয়্যার ইনকরপোরেট আজ তাদের সিকিউরিটি বা নিরাপত্তা বিষয়ক নতুন অগ্রগতি নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে, নতুন ডিজিটাল প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতায় বাংলাদেশের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো সুরক্ষিতভাবে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে এবং সব জায়গা সহ প্রাইভেট ও পাবলিক ক্লাউডেও কর্মীদের কাজ সহজ করবে। প্রতিষ্ঠানটির সিকিউরিটি বা নিরাপত্তা বিষয়ক প্ল্যাটফর্মের নতুন এ অগ্রগতি পাবলিক ও প্রাইভেট ক্লাউড ও নিরাপত্তা কার্যক্রমকে অধিকতর সুরক্ষিত করবে। পাশাপাশি, প্রধান তথ্য-নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের অ্যাপ, যেকোন ক্লাউড কিংবা ডিভাইসে ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে সুরক্ষিত অ্যাকসেসের সুযোগ করে ভবিষ্যতের ব্যবসার জন্য প্রস্তুত হতে সহায়তা করবে।
ভিএমওয়্যার কার্বন ব্ল্যাকস গ্লোবাল থ্রেট প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারিতে বিশ্বজুড়ে সাইবার ঝুঁকি বহুলাংশে বেড়েছে। প্রতিবেদনে বিশ্বের ৯১ শতাংশ সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এ প্রতিকূল সময়ে কর্মীরা ঘরে বসে কাজ করার কারণে সামগ্রিকভাবে সাইবার হামলা অনেক বেড়েছে। বিশ্বজুড়ে জরিপে অংশ নেয়া ৩২ শতাংশ মানুষই সাইবার নিরাপত্তার হুমকি ব্যাপারে উদাসীন।’
‘এ অনিশ্চিত সময়ে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে ডিজিটাল উদ্ভাবনের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করছে। দীর্ঘমেয়াদে সফল হতে তাদের প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার বিষয়টি অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে,’ বলেন ভিএমওয়্যার বাংলাদেশের কান্ট্রি সেলস ম্যানেজার ইউসুপ ফারুক।
তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, তাদের ব্যবসায়িক রূপান্তরকে সহজীকরণ ও পরিবর্তিত ব্যবসায়িক পরিবেশে টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য বিভিন্ন উদ্ভাবন নিয়ে আসার মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সক্ষম করে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভিএমওয়্যার।’
ভিএমওয়্যারের ক্লাউড, অ্যাপ আধুনিকীকরণ, নেটওয়ার্কিং, নিরাপত্তা এবং ডিজিটাল কর্মক্ষেত্রের প্ল্যাটফর্মগুলোকে ব্যবহারযোগ্য, ও সংগতিপূর্ণ ডিজিটাল ভিত্তি হিসেবে তৈরি করবে, যেটি যেকোন জায়গা থেকে পরিচালনা ও পাশাপাশি অ্যাপ্লিকেশনকে সুরক্ষিত রাখবে।
সম্প্রতি উন্মোচিত হওয়া, ভিএমওয়্যার কার্বন ব্ল্যাক ওয়ার্কলোড প্রতিষ্ঠানগুলোকে অত্যাধুনিক সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিৎ করে এর ঝুঁকি হ্রাস করবে। নতুন এ সমাধানটি এন্ড-টু-এন্ড সমাধান দিবে এবং ব্যবস্থাপনার কাজকে সহজ করবে। সিকিউর অ্যাকসেস সার্ভিস এজ এবং ডিজিটাল কর্মক্ষেত্র এবং এন্ডপয়েন্ট সিকিউরিটি প্রযুক্তি ক্লাউড, অ্যাপ্লিকেশন কিংবা যেকোনো ডিভাইসে সমন্বিতভাবে কাজ করবে।
প্রধান সুবিধাসমূহ:
আরো বৃহত্তরভাবে ঝুঁকি চিহ্নিতকরণ এবং কাজের ক্ষেত্র জোরদার করা
অধিক সুরক্ষা, শনাক্তকরণ এবং নতুন ঝুঁকি প্রতিরোধ
তথ্যপ্রযুক্তি ও নিরাপত্তা দলের কার্যক্রমকে সহজ করা
ডিস্ট্রিবিউটেড ওয়ার্কফোর্স কর্মী নিযুক্তি, কাজের দৃশ্যমানতা, কমপ্ল্যায়েন্স, সুরক্ষা এবং কর্মীদের নিরাপত্তাসহ অনেক কিছুর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। এসব প্রতিকূলতা শনাক্তে এবং ভবিষ্যতের কাজের পন্থা সফলভাবে অনসরণ করতে প্রতিষ্ঠানগুলোর সুরক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তিগত পরিবেশের জটিল অবস্থা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।