কিছুদিন হলে ফ্রান্সের অনেক ওয়েবসাইট বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মুসলিম হ্যাকাররা হ্যাক করে ফেলছে। আর ‘এই সাইবার অ্যাটাক ততদিন চলবে যতদিন না ফ্রান্স সরকার ক্ষমা চাচ্ছে’ এমনটা বলেছেন হ্যাকাররা। আর ফ্রান্স সরকার এই সাইবার আক্রমণ দেখে সকল ওয়েবসাইট এর নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিতে রেড অ্যালার্ট জারি করেন। তবে সবথেকে বেশি নিরাপত্তা দেওয়া হয় ‘চার্লি হেবদ’ নামক ওয়েবসাইট এর। এই ওয়েবসাইট থেকেই ইসলামের সর্বশেষ নবি ও রাসুলের ব্যাঙ্গ চিত্র প্রকাশ করে। তবে চলুন জেনে নেই কী হয়েছিল সেই ওয়েবসাইট এর সাথে।
কিছু ওয়েবসাইট হ্যাক করার ফলে ফ্রান্স সরকার হ্যাকারদের আক্রমণ থেকে বাচঁতে সকল ওয়েবসাইট এর সুরক্ষা বাড়িয়ে দেওয়ার আদেশ দিলেও ওয়েবসাইট হ্যাক হচ্ছিলই আবার সাথে তারা ডিডিওএস অ্যাটাক দিয়ে ওয়েবসাইটগুলোর সার্ভার ব্যাস্ত করে ওয়েবসাইটগুলো ডাউন করে দিচ্ছিল। আর বাংলাদেশের হ্যাকার কমিউনিটি আগেই ফ্রান্সের সেই ওয়েবসাইটকে হুমকি দিয়েছিল। তাই তারা Cloudflare নামক নিরাপত্তা তাদের ওয়েবসাইট এ লাগিয়ে দেয়। কিন্তু সকল নিরাপত্তার কিছু ত্রুটি থাকে। তাদের এই নিরাপত্তার ত্রুটি হলো একসাথে কয়েক হাজার মানুষ মিলে যদি এই একই টার্গেটে ডিডিওএস আক্রমণ চালালে সেই নিরাপত্তা প্রাচীর ভেঙে যাবে। আর এমনটাই হয় সেই ওয়েবসাইট এর সাথে। একসাথে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার জন মানুষ নিজেদের সকল ডিভাইস থেকে আক্রমণ করে। আর আড়াই ঘন্টার মধ্যেই সেই ওয়েবসাইট টা বন্ধ হয়ে যায়। আর এখন সেই ওয়েবসাইট দক্ষিণ এশিয়ায় এখন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাদের ওয়েবসাইট এ গেলে এখন দেখাচ্ছে যে সাইবার আক্রমণ থেকে বাচঁতে তারা দক্ষিণ এশিয়ায় তাদের ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে।
কিন্তু ঘটনা এখানেই থেমে নেই। ভারত ফ্রান্সের পাশে দাঁড়াতে শুরু করেছে। তারা ফ্রান্সের ওয়েবসাইট রিকোভারসহ বাংলাদেশের কিছু ওয়েবসাইট হ্যাক করে। আর সেগুলোকে ১ দিনের মাথাতেই বাংলাদেশি সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্টরা রিকোভার করে ফেলে আর এর সাথে তারা ভারতের বেশ করেকটা ওয়েবসাইটে দখল নিয়ে ফেলে। এখন প্রযুক্তিবিদদের আশঙ্কা হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত সাইবার যুদ্ধ। কারণ এর আগের ২০১২ সালের সাইবার যুদ্ধে শুধু ভারতই নয় সাথে বাংলাদেশের সাইয়ার স্পেসও বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আর এই ৮ বছরে প্রযুক্তির অনেক উন্নয়ন হয়েছে তাই এই যুদ্ধও আগের চাইতে অনেক ভয়াবহ হবে। তাই এতে যে কোন দেশের সাইবার স্পেস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
হয়ত ভারতের সাইবার আক্রমণের শিকার আপনিও হতে পারেন। হয়ত তারা ম্যালওয়্যার ব্যবহার করে আপনার ফোন, ট্যাব, কম্পিউটার বা আপনার বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ইতিমধ্যেই হ্যাক করে ফেলেছে। তাই এখন থেকেই সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সচেতন হোন। এতে অন্তত আপনি নিরাপদ থাকবেন।