ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডাকঘরের প্রতিটি কর্মকাণ্ড ২০২৩ সালের মধ্যে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হবে। কাউন্টার থেকে পোস্টম্যানের পার্শ্বেল কিংবা চিঠি বিতরণের প্রতিটি স্তর অটোমেশনের আওতায় আনতে না পারলে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে টিকে থাকা যাবে না। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চলমান রূপান্তর থেকে পোস্ট অফিস পিছিয়ে থাকতে পারে না।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে বিসিএস পোস্টাল এসোসিয়েশন কর্তৃক ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের নতুন যোগদানকৃত সচিব মো: আফজাল হোসেনকে প্রদত্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বিসিএস পোস্টাল এসোসিয়েশনের সভাপতি জেহসান ইসলামের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী নতুন সচিবকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ২০২৩ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -২, তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ স্থাপন এবং ৫জি চালু করার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল মহাসড়ক নির্মাণের এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি সভ্যতার সেতুবন্ধন ডাকঘরকেও আমাদের ডিজিটাল করতে হবে। তিনি এই ব্যাপারে ডাক কর্মকর্তাদের নিবেদিতভাবে কাজ করার আহবান জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডাকঘরের অবকাঠামো উন্নয়নে গত এগারো বছরে যুগান্তকারি বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছেন।
ডাকঘরের বিদ্যমান অবকাঠামোসহ বিশাল কর্মীবাহিনীকে ডিজিটাল সৈনিক হিসেবে কাজে লাগাতে তাদেরকে যথাযথ প্রশিক্ষণসহ সম্ভাব্য সব কিছু করা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল দক্ষতার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার হয় না। কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্রাউজিং জানা থাকলে যে ডিজিটাল কাজ করা সম্ভব। ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব তাকে সংবর্ধনা প্রদানের জন্য অনুষ্ঠানে বিসিএস পোস্টাল এসোসিশনের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান।