দেশে স্মার্টফোন কেনার হিড়িক পড়েছে। জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর—বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে দেশে স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে ৩২ লাখ ৬৩ হাজার ৭০৫টি।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃত পরামর্শক ও বাজার গবেষণা সংস্থা কাউন্টার পয়েন্ট রিসার্চ-এর তথ্য অনুযায়ী, বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১৩ লাখ ৯১ হাজার ৮৮১টি ফোন বিক্রি হয়েছে। বছরের প্রথম প্রান্তিকে যা ছিল ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৮৮১টি।
একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃত পরামর্শক ও বাজার গবেষণা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, তৃতীয় প্রান্তিকে দেখে স্মার্টফোন বাজার দখল ৩২ শতাংশ। এর আগের প্রান্তিকে এটি ছিল ২৬ শতাংশ। বছরের শুরুতে যা ছিল মাত্র ২০ শতাংশ।
বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে দেশের স্মার্টফোন বিক্রিতে ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ট্রানশান। চীনা প্রতিষ্ঠান ট্রানশান হোল্ডিংসের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হলো টেকনো। এ সময়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে স্যামসাং। তাদের দখল রয়েছে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ। ১৫ দশমিক ২ শতাংশ নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভিভো, অপো ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ নিয়ে চতুর্থ এবং সিম্ফোনি ১১ দশমিক ৪ শতাংশ নিয়ে পঞ্চমে।
তবে বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকেই স্যামসাং ২০ দশমিক ২ শতাংশ দখল নিয়ে শীর্ষে ছিল। ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ নিয়ে তখন দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ট্রানশান। দ্বিতীয় প্রান্তিকে সিম্ফোনির অবস্থান ছিল তৃতীয়। চীনা প্রতিষ্ঠানটির দখন ছিল ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ। চতুর্থ অবস্থানে ভিভোর ১০ দশমিক ৪ শতাংশ এবং পঞ্চমে অপোর ১০ দশমিক ২ শতাংশ।
আরো পড়ুন: দেশের স্মার্টফোন বাজারে শীর্ষস্থানে উঠে এলো ট্রানশান
বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন সরবরাহ করা হয়েছে ৩৮ কোটি। এ সংখ্যা ঠিক এক বছর আগের বা ২০১৮ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের বিক্রির চেয়ে মাত্র দুই লাখ বেশি। সেসময় স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছিল ৩৭ কোটি ৯৮ লাখ।
তৃতীয় প্রান্তিকের হিসেবে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি স্মার্টফোন বিক্রি করেছে স্যামসাং। তারা এই সময় বাজার শেয়ার দখল করেছিল ২১ শতাংশ। তবে এর ঠিক কাছাকাছিই রয়েছে চীনের প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। তারা ১৮ শতাংশ শেয়ার দখল করেছিল এই প্রান্তিকে। তৃতীয় প্রান্তিকে সবচেয়ে প্রবৃদ্ধিমূরক নতুন ব্র্যান্ড হিসেবে উঠে এসেছে চীনের রিয়েলমি।
করোনাকালে পুরো বিশ্বেই স্মার্টফোনের বাজার বেশ প্রভাব পড়েছে। তবে বাংলাদেশের বাজার ছিল জমজমাট। বছর শেষে বাজার আরো উর্ধ্বগতি হবে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।