বিশ্বজুড়ে ইউটিউবসহ গুগলের বেশ কিছু সার্ভিস ব্যবহারে সমস্যা হচ্ছে। সার্ভার ডাউনের কারণে এই সমস্যা হচ্ছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশেও একই সমস্যা হচ্ছিলো। তবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ এই সমস্যা ঠিক হয়ে যায় এবং ইউটিউবসহ অন্যান্য সার্ভিস ব্যবহার করতে পারছেন বলে ব্যবহারকারীরা জানান।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে বড় ধরণের আউটেজের (গ্রাহক পর্যায়ে নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন) মুখোমুখি হয় গুগল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউটিউব, গুগল, গুগল মিট, গুগল হ্যাংআউটস, গুগল প্লে এবং জিমেইল, গুগল ম্যাপসহ আরো বেশ কিছু বহুল ব্যবহৃত সার্ভিস ব্যবহারে গ্রাহকরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
ওয়েব আউটেজ পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট ডাউনডিটেকটর, সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ অন্তত ২০ হাজার আউটেজের রিপোর্ট পেয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৯ মিনিটে এক টুইট বার্তায় ইউটিউব জানিয়েছে, বিভ্রাটের বিষয়টি তারা অবগত এবং সারানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ থেকে ইউটিউব ডটকমে প্রবেশের চেষ্টা করলে Something went wrong… লেখা দেখাচ্ছিল। সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে একটি কার্টুনের মাধ্যমে বলা হচ্ছিল। তবে কিছুক্ষণ পর গুগলের সার্ভিসগুলো ব্যবহার উপযোগী হয়।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, ইউটিউবের এ সমস্যা সাময়ীক। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ভিডিও প্লাটফর্মটি প্রতিনিয়তই তাদের উন্নয়ন ঘটানোর চেষ্টা করছে। সম্প্রতি তারা আপত্তিকর মন্তব্য রোধ এবং সুষ্ঠু পরিবেশ ধরে রাখতে নতুন ফিচার এনেছে। পোস্টের সময় ব্যবহারকারী আপত্তিকর মন্তব্য করলে তা পুনর্বিবেচনার সুযোগ দেবে এই ফিচার। ইউটিউবের এআইভিত্তিক ব্যবস্থায় কাজ করবে এই ফিচার।
কোনো ইউটিউব ব্যবহারকারী আপত্তিকর মন্তব্য পোস্ট করার আগে তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে, ‘মন্তব্যটি এভাবেই পোস্ট করতে চান, নাকি কোনো পরিবর্তনের জন্য সময় নেবেন?’ কোনো মন্তব্য আপত্তিকর হিসেবে শনাক্ত হলে পুনর্বিবেচনার সুযোগ দিয়ে মন্তব্যকারীকে নোটিফিকেশন পাঠানো হবে।
কনটেন্ট নির্মাতাদের আরও ভালোভাবে মন্তব্য ব্যবস্থাপনা এবং দর্শকের সঙ্গে তাদের যুক্ত হতে সহায়তা দেবে নতুন ফিল্টারটি। অনুপযুক্ত ও বেদনাদায়ক মন্তব্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে পর্যালোচনার জন্য এই ফিল্টারের মাধ্যমে জমিয়ে রাখা হবে। কনটেন্ট নির্মাতারা না চাইলে কখনোই মন্তব্যগুলো তাদের পড়তে হবে না।