তরুণদের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড রিয়েলমি তাদের চিফ ট্রেন্ডসেটিং অফিসার হিসেবে ডিজাইনার টয় রিয়েলমিয়াও’কে নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছে। হাই-টেক ও ট্রেন্ডসেটিং ডিজাইনের সমন্বিত রূপ রিয়েলমিয়াও রিয়েলমির ’ডেয়ার টু লিপ’ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে এবং হালের জেন-জি প্রজন্মের বৈচিত্র্যময় ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন করে।
বিশ্ববিখ্যাত অ্যানিমেটর মার্ক এ ওয়ালশ ও রিয়েলমি যৌথভাবে রিয়েলমিয়াও-এর ডিজাইন করেছে। ওয়ালশ পিক্সারের মনস্টারস ইঙ্ক-এর ক্যারেক্টার ডেভেলপার এবং ফাইন্ডিং নিমো’র ডিরেক্টিং অ্যানিমেটর হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বলেন, ‘যেকোনো ক্যারেক্টার তৈরিতে প্যাশনের প্রয়োজন। এই উজ্জীবনের ব্যাখ্যা এবং এই প্যাশন অর্জনের জন্য তারা যেসব বাঁধাগুলোকে অতিক্রম করে অনন্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয়, সেটা সত্যিকার অর্থেই দুর্দান্ত।’ তাই ট্রেন্ডসেটিং রিয়েলমিয়াও চরিত্রটি তৈরির জন্য তিনি ক্রিয়েটিভ কনসালটেন্ট হিসেবে রিয়েলমি ডিজাইন স্টুডিওতে যোগদান করেছেন। রিয়েলমিয়াও সত্ত্বা স্বাধীন, নির্ভীক ও চঞ্চল প্রকৃতির।
টেক ট্রেন্ডসেটার ব্র্যান্ড হিসেবে রিয়েলমি প্রযুক্তি ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন নতুন ট্রেন্ডি প্রযুক্তি পণ্য নিয়ে আসতে সচেষ্ট। ট্রেন্ডসেটিং সংস্কৃতির সাথে হাই-টেক প্রযুক্তিকে যুক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। রিয়েলমিয়াও ডিজাইনের ক্ষেত্রে মার্ক এবং রিয়েলমি তরুণদের পছন্দের বিষয়গুলোকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, রিয়েলমিয়াও স্ট্রিট-কালচার থেকে অনুপ্রাণিত। চরিত্রটিকে আরো নান্দনিক ও শক্তিশালী করতে পেইন্টিং ও স্কাল্পচার থেকেও কিছু উপাদান যোগ করা হয়েছে।
মার্ক এবং রিয়েলমি যৌথভাবে তৈরি রিয়েলমিয়াও ট্রেন্ডসেটিং প্ল্যানেটের রহস্যজনক শক্তির অধিকারী একটি ক্যাট ইমেজ। এ প্রধান রঙ হলো হলুদ এবং এই ডিজাইনার টয়টি সবসময় কালো লেজার গ্লাস পরে থাকে। এই লেজার গ্লাস এক নিমিষেই যেকোন বস্তুকে অন্য বস্তুতে রূপান্তর করতে পারে। নিজ গ্রহের ট্রেন্ডসেটিং সংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্য রিয়েলমিউ দুর্দান্ত একটি মাধ্যম।
ডিজাইনার টয় হিসেবে রিয়েলমিয়াও -এর বয়স সবসময়ই ১৮। এর চমৎকার লেজার গ্লাস দেখতে খুবই আকর্ষণীয়। চরিত্রটি ফ্রাইড চিকেন, পিৎজা খেতে, স্কেটিং ও হিপ-হপ ড্যান্স পছন্দ করে এবং সবসময় র্যাপ সঙ্গীতের তালে তালে তরুণদের মতো নাচতে ভালোবাসে।
রিয়েলমিয়াও’র ওপর ভিত্তি করে সামনের দিনগুলোতে কাস্টমাইজড স্মার্টফোন ও এআইওটি পণ্য নিয়ে আসবে রিয়েলমি, যেগুলো তরুণদের আরো কানেক্টেড ও ট্রেন্ডসেটিং স্মার্টলাইফ নিশ্চিত করবে।
ট্রেন্ড, ইউনিক পারসোনালিটি, ফ্যাশন ও গুণগত মানের ক্ষেত্রে রিয়েলমিয়াও তরুণদের বেশ আনন্দ দিবে। ডিজাইনার টয়টি দিয়ে তরুণদের সাথে ট্রেন্ডসেটিং কালচারের বিকাশে কাজ করবে রিয়েলমি। বিশ্বব্যাপী তরুণদের সাথে নতুন বছর উদযাপনের জন্য রিয়েলমিয়াও গিফট প্যাকেজও নিয়ে এসেছে রিয়েলমি।