২০২০ সালে লকডাউনে গোটা বিশ্ব ঘর বন্দী থাকলেও স্মার্টফোন কোম্পানিগুলো একের পর এক নতুন প্রযুক্তির স্মার্টফোন নিয়ে এসেছে। দেখে নিন এমনই কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্মার্টফোন ফিচার যা চলতি বছর লঞ্চ হয়েছে।
ফোল্ডেবল স্মার্টফোনের উত্থান
২০১৯ সালে প্রথম বাজারে এলেও ফোল্ডেবল স্মার্টফোনের জনপ্রিয়তা বেড়েছে ২০২০ সালে। চলতি বছর স্যামসাং, মাইক্রোসফট, হুয়ায়েই, মোটোরলা সহ বিভিন্ন কোম্পানির ফোল্ডেবল স্মার্টফোন বাজারে এসেছে। এর মধ্যে একাধিক ফোনে ব্যবহার হয়েছে ফোল্ডেবল ডিসপ্লে।
সুইভেল ডিজাইন
ফোল্ডেবল ফোনের মতোই নজর কেড়েছে নতুন এই ফোন ডিজাইন। সম্প্রতি এলজি উইং ফোনে এই ডিজাইন দেখা গিয়েছে। আগামী বছর এই ডিজাইনের আরও ফোন দেখা যেতে পারে।
বেশি রেজোলিউশন ক্যামেরা
বিগত কয়েক বছরে স্মার্টফোন ক্যামেরায় বিপুল উন্নতি হয়েছে। চলতি বছরে ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার স্মার্টফোন এনেছে একাধিক কোম্পানি। ক্যামেরায় যোগ হয়েছে ১০০এক্স জুম।
ক্যামেরায় লাইডার সেন্সর
আইফোন ১২ সিরিজে যোগ হয়েছে লাইডার সেন্সর। স্মার্টফোনে অগমেন্টেড রিয়ালিটির অভিজ্ঞতাকে ভালো করতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে অ্যাপেল।
অগমেন্টেড রিয়ালিটি
চলতি বছর অগমেন্টেড রিয়ালিটিতে বিপুল পরিবর্তন আসছে। আগামী বছর আরও বেশি ফোনে অগমেন্টেড রিয়ালিটি দেখা যাবে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স
অগমেন্টেড রিয়ালিটি ছাড়াও চলতি বছর স্মার্টফোনের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সেও অনেকটা উন্নতি হয়েছে। গ্রাহক আগের থেকে আরও বেশি ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যবহার শুরু করেছে।
৫জি
চলতি বছরেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাণিজ্যিকভাবে ৫জি পরিষেবা শুরু হয়েছে। যদিও ভারতে ২০২১ সালে নতুন জেনারেশনের নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি আসার সম্ভাবনা কম।
স্মার্টফোনে কোভিড ডিটেকশন
করোনা অতিমারির জন্য ২০২০ সালকে সবাই মনে রাখবে। স্মার্টফোনের লোকেশন ও ব্লুটুথ ব্যবহার করে বিভিন্ন অ্যাপ আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে সাহায্য করেছিল।
লিকুইড কুলিং প্রযুক্তি
স্মার্টফোনের প্রসেসর ঠাণ্ডা রাখতে লিকুইড কুলিং প্রযুক্তি এই বছরেই সামনে এসেছে। গেমিং ফোনে এই প্রযুক্তি বেশি ব্যবহার হয়েছে।
৫মিমি আর্কিটেকচারের মোবাইল প্রসেসর
চলতি বছর লঞ্চ হওয়া আইফোন ১২ সিরিজে ব্যবহার হয়েছে এ১৪ বায়োনিক চিপ। এই চিপে রয়েছে ৫মিমি আর্কিটেকচারের মোবাইল প্রসেসর। এই প্রথম কোন মোবাইল ডিভাইসে এই প্রযুক্তি ব্যবহার হল।
গোপনীয়তা ও সুরক্ষা
এছাড়াও চলতি বছর সামনে এসেছে অ্যানড্রয়েড ১১ ও আইওএস ১৪। এই দুই মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমেই গ্রাহকের সুরক্ষা ও গোপনীয়তায় যোগ দেওয়া হয়েছে।