কিছুদিন আগেই শাওমি অ্যানাউন্স করে তাদের লেটেস্ট ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন শাওমি মি১১ । তবে এই অ্যানাউন্সমেন্টকে পাশ কাটিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে শাওমি মি১১ এর রিটেইল বক্সে চার্জার না থাকা নিয়ে। যার ফলে অনন্য এই ডিভাইসের আবেদন অনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছে বাজারে। মূলত গত বছর iPhone 12 সিরিজের সাথে চার্জার না দেয়ার কিছুদিন পরেই শাওমিও একই পথে হাঁটা দেওয়ায় নেটিজেনরা ঠাট্টা করে অ্যাপলের কপিক্যাট টাইটেল দিয়েছেন শাওমিকে।
তবে এবার সমালোচনার জবাব দিয়ে শাওমি কে ডিফেন্ড করতে খোদ বক্তব্য দিয়েছেন শাওমির সিইও লেই জুন। লেই জুন সম্প্রতি একটি লাইভ ব্রডকাস্টে বলেছেন, রিটেইল বক্স থেকে চার্জার সরিয়ে ফেলার কথাটি আরও ৫ বছর আগেই জানিয়েছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ওয়েইবোতে লেই জুন তার এই ধারণার কথা পেশ করেছিলেন। সম্প্রতি শাওমি প্রধান দাবি করেন যে, শাওমি অ্যাপলকে নয় বরং অ্যাপলই শাওমিকে অনুকরণ করেছে এবার।
এক ওয়েইবো পোস্টে ২০১৫ সালেই স্মার্টফোন থেকে চার্জার সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে ব্যবহারকারীদের মতামতও জানতে চেয়েছিলেন। সেসময় ওই নিউজটি কাভার করেছিল GSMArena এর মতো বড় বড় সংবাদমাধ্যমগুলো। স্বাভাবিকভাবেই অনেকেই এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ছিলেন তখন। তবে এবার বাস্তবেই শাওমি মি১১ এর রিটেইল বক্স থেকে চার্জার সরিয়ে নিয়ে ফ্যানসদের বিরাট সারপ্রাইজ দিয়েছে শাওমি। যদিও অনেক শাওমি সমর্থকও কোম্পানির এমন সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারবেননি।
অন্যদিকে শাওমি মি১১ এর রিটেইল বক্সে চার্জার না থাকলেও বিক্রি থিম নেই ফোনটির। চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি বিক্রি শুরু হয় শাওমি মি১১ ডিভাইজটি। আর প্রথম ফ্ল্যাশ সেলেই বাজিমাত করেছে ফোনটি। শাওমি জানিয়েছে, মাত্র ৫ মিনিটের ফ্ল্যাশ সেলে চীনে বিক্রি হয়েছে ১.৫ বিলিয়ন চাইনিজ ইউয়ান (প্রায় ১,৯৫৩ কোটি টাকা) সমমূল্যের শাওমি মি১১ । যেখানে ছিল আনুমানিক প্রায় ৩,৫০,০০০ ইউনিট ডিভাইজ। যদিও এর মধ্যে কেবলমাত্র ২০,০০০ (গ্রিন এডিশন) ইউনিটের সাথে চার্জার ইনক্লুড ছিল, কিন্তু বাকি ৯৬% ইউনিটের সাথে চার্জার দেয়নি শাওমি।