স্টিভ জবস যাদুতে অ্যাপলের জনপ্রিয়তা ছিল আকাশ ছোঁয়া। টেক দুনিয়ার এ স্বপ্ন পুরুষ চলে গেলেও প্রতিবছর নিত্য নতুন পণ্য নিয়ে টেক জায়ান্টটির চমক অব্যাহত রয়েছে। আর এর নেপথ্যে রয়েছে বর্তমান অ্যাপল সিইও টিম কুকের বড় অবদান।
করোনাকালে অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের মতো কিছুটা বেকায়দায় পড়েছিল অ্যাপল। তবে সেই ক্ষতিপূরণে সক্ষম হয়েছে অ্যাপল। আর তাই টিম কুকের নগদ বোনাস বেড়েছে ৪০ শতাংশ। এর মানে তিনি ১ কোটি ৭ লাখ ডলার বেতন পাবেন।
টিম কুক গতবছর মোট ১ কোটি ৪৮ লাখ ডলার বেতন পেয়েছেন বলে জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। এর মধ্যে নগদ ক্যাশ বোনাস এবং ৩০ লাখ ডলার বেতন।
ইউএস সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (এসইসি) জমা দেওয়া অ্যাপলের বার্ষিক নথিতে বলা হয়, মনোনীত কর্মকর্তাদের জন্য আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণের প্রতিশ্রুত বোনাসের ১৭৯ শতাংশ পরিশোধ করা হয়েছে।
সিইও হিসেবে টিম কুক যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন অ্যাপলের মূল্য ছিল ৩৪৮ বিলিয়ন ডলার, যা এখন ২ ট্রিলিয়নে পরিণত হয়েছে। ১ ট্রিলিয়ন ডলারের কোম্পানিতে পরিণত হতে অ্যাপলের সময় লেগেছে ৪২ বছর। তবে ২ ট্রিলিয়নে যেতে শুধু ২ বছর। এ পরিসংখ্যানই বলে দেয় অ্যাপল কত শক্তিশালী হয়ে সামনের দিকে এগোচ্ছে।
গত বছর আগস্টে বিশ্বের শত কোটিপতির তালিকায় নাম উঠেছে অ্যাপল সিইও টিম কুকের। এর পেছনে অ্যাপলের বাজারমূল্য বৃদ্ধি ভূমিকা রেখেছে।
নয় বছর আগে অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানটির সিইওর দায়িত্ব পান টিম কুক। ১৯৯৮ সালে অ্যাপলে যোগ দেন টিম কুক। গত আগস্টের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৬০ বছর বয়সী টিম কুকের কাছে অ্যাপলের সরাসরি ৮ লাখ ৪৭ হাজার ৯৬৯টি শেয়ার রয়েছে।