২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারীতে পুরো বিশ্ব থমকে দাঁড়ালেও থেমে ছিলো না প্রযুক্তি বিশ্ব। গ্রাহকদের চাহিদা পূরণে ডেস্কটপ এবং ল্যাপটপ নির্মাতারা যেমন হিমশিম খাচ্ছেন, তেমনি স্মার্টফোন বাজারও অনেকটাই গরম এখন। যদিও মহামারীর শুরুর দিকের সময়টাতে কিছু নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিলো স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রি, তবে সময়ের সাথে সাথে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও ঘুরে দাঁড়িয়ে বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজার। পরিসংখ্যান বলছে, নতুন স্মার্টফোনের পাশাপাশি সমানতালে বেড়েছে ব্যবহৃত স্মার্টফোনের বিক্রিও।
বাজার বিশ্লেষক সংস্থা আইডিসি (ইন্টারন্যাশনাল ডেটা কর্পোরেশন) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, করোনা প্রকোপ থাকা সত্ত্বেও ২০২০ সালে গ্লোবালি প্রায় ২২৫.৪ মিলিয়ন (২৫.৪ কোটি) ইউনিট সেকেন্ড-হ্যান্ড স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে, যা ২০১৯ সালের থেকে কিছুটা বেশি। আইডিসি এর রিপোর্টে বলা হয়, ২০১৯ সালের থেকে ২০২০ সালে ব্যবহৃত স্মার্টফোনের বিক্রি প্রায় ৯.২% বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও আইডিসি এর মতে এই সংখ্যা আরও বেশি হওয়া উচিত ছিলো, যা তাদের ধারণার থেকে এই সংখ্যা প্রায় ৬.৪% কম।
আইডিসি এর প্রত্যাশা অনু্যায়ী, ২০২৪ সালের মধ্যে ব্যবহৃত স্মার্টফোন বিক্রির সংখ্যাটি বেড়ে ৩৫১ মিলিয়ন হবে। এছাড়া আইডিসি এর গবেষণা ব্যবস্থাপক ‘অ্যান্থনি স্কারসেলা’ বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে স্মার্টফোন বাজারে সাম্প্রতিক সময়ে বিক্রি কমে যাওয়ার মধ্যে এই সংবাদটি অনেকটাই আশাব্যঞ্জক। এর পিছনে অন্যতম ভূমিকা রেখেছে রিফার্বিশড স্মার্টফোন। উল্লেখ্য, এই তালিকায় ব্যবহৃত ফোনের পাশাপাশি রিফার্বিশড স্মার্টফোন ও রয়েছে।
রিফার্বিশড ডিভাইজ বিক্রি বাড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে অধিকাংশ গ্রাহকই কম খরচে তাদের পুরনো স্মার্টফোনটি বদল করে পছন্দের নতুন স্মার্টফোন নিয়েছেন। ফেরত নেয়া স্মার্টফোনগুলো পরবর্তীতে রিফার্বিশড স্মার্টফোন হিসেবে বিক্রি হয়। আইডিসি এর রিপোর্ট অনুসারে, দিনকে দিন বেড়ে চলেছে রিফার্বিশড ফোনের বিক্রি, যা আগামী আরও কয়েকগুন বেড়ে যাবে। যদিও এতে কাস্টমার ও কোম্পানি, উভয়ের জন্যই নতুন সম্ভাবনার সুযোগ রয়েছে।