প্রশাসনিক ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে দেশের জনগণকে ডিজিটাল সেবা প্রদানের মাধ্যমে ইনলাইন থেকে অনলাইনে নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আর্থিক লেনদেনে অনিয়ম, খরচ ও হয়রানি রোধে ইন্টার-অপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন প্লাটফর্ম (আইডিটিপি) চালু করা হবে বলেও তিনি জানান।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে বিসিসি মিলনায়তনে সরকারি প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রবর্তিত ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদনে’ সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগের মধ্যে জনসেবায় আইসিটি বিভাগ সেরা নির্বাচিত হওয়ায় এপিএ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. বি. এম. আরশাদ হোসেনসহ বিভাগ ও এর অধীন বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
পলক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে সকল সরকারি সেবা জনগণের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়া ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল দর্শন। বার্ষিক কর্মসম্পাদনে জনসেবায় আইসিটি বিভাগের এ অর্জন আগামী দিনে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য অর্জনে আরো বেশি কাজ করতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
তিনি বলেন, প্রযুক্তির সুফল জনগণের কল্যাণে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। দেশের প্রযুক্তি খাতের সার্বিক উন্নয়ন ও তরুণ প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে মানবসম্পদ উন্নয়ন, ইন্ড্রাস্টি প্রমোশন, ই-গভর্নমেন্ট ও তৃণমূল পর্যন্ত কানেক্টিভিটি এ ৪টি স্তম্ভ নিয়ে কাজ করছে সরকার।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের সঠিক দিকনির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানের কারণেই এ সফলতা অর্জন সম্ভব হয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে আছে।
তিনি বলেন, বিগত ১২ বছরে দেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের যথাযথ অবকাঠামো গড়ে ওঠার কারণে কোভিড-১৯ মহামারিতেও শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, আদালত ও সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদনে ৫১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৪.৯৭ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।